লক্ষ্মীপুর: প্রায় এক একর ৬০ শতাংশ জায়গার একটি বাগানে ১২শ আপেল কুলের (বরই) চারা লাগিয়েছিলেন মোহাম্মদ শরীফ। ৬-৭ মাসের ব্যবধানে প্রতিটি গাছে ফল এসেছে।
বাগান তৈরিতে তার ব্যয় হয়েছে ৫ লাখ টাকার মতো। এ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন, আরও অন্তত ১০ লাখ টাকার কুল বিক্রি করার আশা প্রকাশ করেছেন বাগান মালিক শরীফ।
লাভজনক এ বাগানের অবস্থান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারগোপ্তা বাজার সংলগ্ন পশ্চিম চর মনসা গ্রামে। ফজর আলী এগ্রো ফার্ম নামের একটি কৃষি প্রকল্পের পরিচালক শরীফ। প্রকল্পের পাশের এক একর ৬০ শতাংশ জমির একটি বরইয়ের বাগান করেছেন তিনি।
শরীফ বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ৭-৮ মাস আগে ঝিনাইদহ জেলা থেকে 'ভারত সুন্দরী' জাতের আপেল কুলের চারা এনে লাগিয়েছেন তিনি। জমি তৈরি থেকে শুরু করে সার, ওষুধ এবং পরিচর্যা বাবদ তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। গত এক মাস আগে গাছ থেকে ফলন উঠানো শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত ৬ লাখ টাকার মতো বরই বিক্রি হয়েছে। প্রথম থেকে বরইয়ের দাম বেশি থাকলেও এখন ভরা মৌসুমে দাম কিছুটা কমেছে। পুরো মৌসুমে অন্তত ১৫ লাখ টাকার বরই বিক্রির প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তিনি।
শরীফ বলেন, মৌসুমের শুরুতে কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে বিক্রি করলেও এখন দাম কমেছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে বাগান থেকে বরই নিয়ে যাচ্ছেন। ভরা মৌসুম হওয়ায় এখন কেজিতে ৬০ টাকা করে দাম পাচ্ছেন তিনি।
তিনি বলেন, সঠিক পরিচর্যা করলে অল্প সময়ের মধ্যে আপেল কুল চাষে লাভবান হওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৩
আরএ