মাগুরা: বছরের ৬ মাস ইটভাটার কাজে জমি ব্যবহার হলেও বাকি ছয় মাস ফাঁকা পড়ে থাকত। বর্তমানে সেই জমিতে ধান উৎপাদন করছে ইটভাটার মালিকরা।
কৃষি অফিসের পরামর্শে ব্রি-৭৫ ধান আবাদ করেছেন কাশিনাথপুর গ্রামের ইটভাটা মালিক আব্দুল খলিলুর রহমান। এই ধান চাষ দেখে আশপাশের অনেকেই এখন ইটভাটার পরিত্যক্ত জমিতে করছেন কৃষির বিভিন্ন আবাদ।
গত বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে ৬ একর জমিতে ব্রি-১৬ জাতের ধান আবাদে ফলন হয়েছিল ২৬৪ মণ। চলতি বছর ইটভাটার একই জমিতে ব্রি-৭৫ ধানের আবাদে প্রায় ৩৫০ মণ ধান উৎপাদন হবে বলে আশা এ ভাটা মালিকের।
শাপলা ইটভাটার ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বছরের অর্ধেকটা সময়ে এই সব জমি পতিত হিসেবে পড়ে থাকত। এখন সেই সব জমিতে চাষ হচ্ছে ধান। এতে এ অঞ্চলের কৃষকরা সারা বছর শ্রমিক হিসেবে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে এ সব ফসলি জমি।
কাশিনাথপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আলিম বলেন, আগে এক সময় দেখতাম ইটভাটার জমিগুলো পতিত পড়ে থাকতো। ইটভাটার পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া, লাউ, সবুজ শাক, চিচিঙ্গা, ধুনদলসহ নানা প্রকার সবজির আবাদ হচ্ছে। এতে খাদ্য চাহিদা পূরণ করছে। এই জমিতে ধানের আবাদের ফলে জমিগুলো ফিরে পেয়েছে প্রাণ। সবুজ হয়ে উঠেছে দিগন্ত বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।
শ্রীপুর উপজেলার সবদলপুর ইউনিয়নে মহিদুল ইসলাম নামে এক ভাটা মালিক উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ইটভাটার জমিতে আবাদ করেছেন ব্রি-৭৫ জাতের ধান। তিনি বলেন, বছরের অর্ধেক সময়ে এই জমিগুলো পতিত পড়ে থাকত। এই বছর প্রথম আবাদ করছি। আশা করছি ফলন ভালো পাব।
মাগুরা জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, সুফি মো. রফিজুজ্জামান বলেন, কোথাও কোনো চাষযোগ্য জমি পতিত ফেলে রাখে যাবে না। সেই লক্ষ্যে চলতি বছর মাগুরা জেলা ১০টি ইটভাটায় প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামীতে জেলার সব ভাটাগুলো চাষের আওতায় আনা হবে। যা জেলার খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
আরএ