ঢাকা: পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তার জন্য সরকার ঘোষিত নয়শ কোটি টাকা স্কিমের প্রথম কিস্তির টাকা একমাস আগে ছাড় হয়েছে।
কিন্তু, ক্ষতিপূরণ পেতে এখনও কোনো ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) কোনো আবেদন জমা পড়েনি বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু।
সোমবার বিকেলে ডিএসই প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ পেতে আইসিবিতে আবেদনের আহ্বান জানান।
রাজধানীর নিকুঞ্জে নির্মাণাধীন ডিএসই ভবন ও মতিঝিলের অ্যানেক্স ভবন সম্পর্কে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘এগুলো ডিএসই’র নিজস্ব সম্পদ। আইন অনুযায়ী, ডিএসই’র সদস্য হাউজগুলো তাদের শেয়ার ব্যবসা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বরাদ্দ পাবেন। তবে ওইসব সম্পদ কেউ স্থায়ীভাবে পাবেন না। এছাড়া এসব জায়গায় তারা শেয়ার ব্যবসা ছাড়া অন্য কোনো ব্যবসাও করতে পারবেন না।
সম্প্রতি, স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম নিয়ে খুবই ব্যস্ত ছিলাম। তাই, দৈনিক বাজার কার্যক্রমে তেমন নজর দিতে পারিনি। এ মাসের পর আমরা আবার কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গরূপে শুরু করবো। ’
স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ায় ডিএসই’র পরিচালকদের যোগসাজশ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিএসই’র পরিচালকদের প্রত্যেকের একটি করে ব্রোকারেজ হাউজ রয়েছে। তাদের হাউসে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলে যদি কোনো শেয়ারের কারসাজি করে, তবে তার দায়ভার সেই মালিকের নয়। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বা বিনিয়োগকারীদের কাছে যদি সুর্নিদ্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তবে ডিএসইকে লিখিতভাবে জানালে আমরা ব্যবস্থা নেবো বলে জানান তিনি।
আহসানুল ইসলাম টিটু আরো বলেন, ‘এখন সিডিবিএল (সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি ব্যাংক লিমিটেড) থেকে সব তথ্য পাওয়া সম্ভব। কে, কোন হাউসে, কোন কোম্পানির শেয়ার কতটি ক্রয় বা বিক্রয় করলো, তা সেখান থেকে পাওয়া সম্ভব। কেউ যদি নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের কাছে অভিযোগ করে যে, ডিএসই’র এই পরিচালক ওই কোম্পানির শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত, তবে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। ’
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করি চলতি মাসের মধ্যেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ স্কিম অনুমোদন দেবে। তবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বিএসইসি এই স্কিম অনুমোদন করবে এবং ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠির মাধ্যমে স্কিম অনুমোদনের বিষয়ে অবহিত করা হবে। ’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিএসই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, খুজিস্তা নূর-ই নাহরিন, হানিফ ভূঁইয়া, শাহেদ আবদুল খালেক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্বপন কুমার বালা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৩
এসএনএইচ/জেডএস/এবি