কাঁকড়া চাষের এই পদ্ধতিটি এখনো সরকারি পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। তবে খুলনার পাইকগাছার জাবিদুল আমিন রুবেল নিজ উদ্যোগে চেষ্টা করে সাফল্য পেয়েছেন।
উত্তরণ নামের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে নানা ধরণের প্রশিক্ষণ দিয়ে বেকারদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন তিনি। আর যার প্রদর্শন হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়।
প্রায় বছর খানেক আগে প্রায় ৬শ কাঁকড়ার বাচ্চা এনে বক্সে চাষ শুরু করেন রুবেল। তিন মাসে প্রমাণ সাইজের হলে তা বিক্রি করেন। ১ টাকা ২৫ পয়সা করে প্রতিটি বাচ্চা কিনে তা বিক্রি করেন ২৫০ টাকায়। তার খরচ হয় কাঁকড়া প্রতি গড়ে ৪৫ টাকা। তিন মাসেই তার লাভ হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বেশি।
তবে এসব কাঁকড়া লবণ পানির জন্য। স্বাদু পানির কাঁকড়াও বক্সে চাষ করা যায়। কিন্তু তাতে লাভ কম। কেননা, স্বাদু পানির কাঁকড়া সাইজে বড়। এছাড়া মূল খাবার হচ্ছে কাঁকড়ার ঘিলু। স্বাদু পানির কাঁকড়ার ঘিলুর সাইজ ছোট। এজন্য বক্সে কাঁকড়া চাষ উপকূলীয় অঞ্চলেই করতে হবে।
রুবেলে উত্তরণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বেশ কয়েকজন কৃষিবিদও। তারাও উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেন।
রুবেল জানান, কেউ তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে চাষ করতে চাইলে, বক্স, ঘের সবই ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ২৫ হাজার টাকা খরচ করলে যে কোনো বেকার যুবককেই তিনি চাষের জন্য বক্স ও ঘের ব্যবহার করতে দেবেন। এর মাঝেই থাকবে কাঁকড়ার বাচ্চা কেনা ও অন্যান্য খরচ। অর্থাৎ তিন মাসেই যে কোনো বেকার যুবক লাখপতি হতে পারেন। তবে থাকার জায়গা ফ্রি দেওয়া হলেও প্রশিক্ষণার্থীকে খাওয়ার খরচ নিজ থেকেই যোগাতে হবে।
কেন এসব করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী নাগরিকদের ৪০শতাংশ বেকার। বিষয়টি খুব ভাবায়। তাই বেকারদের সহায়তা করতে চাই। এছাড়া আমার নিজের কোনো লস নেই। কেননা, ঘের এর পানির উপরের একটি অংশ এ চাষের জন্য ব্যবহার হয়। নিচে অন্য মাছের চাষ করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
ইইউডি/আরআই