লেট ব্লাইট নামের এই রোগটি আলু ও টমেটোর মড়ক হিসেবে পরিচিত। ফাইটোফথোরা ইনফেসটেনস নামের একপ্রকার ছত্রাকের কারণে সৃষ্ট এ রোগে গাছের লতা-পাতার সাথে রাতারাতি পুড়ে যাচ্ছে টমেটো ফসল।
কান্নামেশানো কণ্ঠে নিজেদের স্বপ্ন বিলীন হওয়ার কথাই জানালেন দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নের আটোর গ্রামের তরুণ টমেটো চাষি সুমন পারভেজ।
বাংলানিউজকে তিনি বললেন, অনেক আশা বুকে নিয়ে এবার টমেটো চাষ করেছিলাম। বৈরী আবহাওয়ায় টানা বর্ষণে লেট ব্লাইট(স্থানীয়ভাবে ‘নাভিধসা রোগ’ নামে পরিচিত) রোগে আক্রান্ত টমেটো গাছে বিভিন্ন প্রকার বালাইনাশক প্রয়োগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। সারাদিন পরিচর্যা করেও গাছকে সুস্থ সবল রাখার কোনো চেষ্টাই কাজে লাগছে না। কীভাবে শোধ করব মহাজনের ঋণের টাকা!
টমেটো চাষিরা এই দুর্দিনে কৃষি বিভাগের কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না। এমন অভিযোগই করলেন একই এলাকার টমেটো চাষি মমিনুল ইসলাম।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের এই চরম দুর্দিনে কৃষি বিভাগের কোনো প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছি না। স্থানীয় দোকানিদের পরামর্শ ও নিজেদের পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করছি আমরা। এহেন পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগের কেউ আমাদের কোনো ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াননি।
এব্যাপারে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা চাষিদের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। কৃষি বিভাগের গাফিলতি নেই বলে দাবি করে তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে টমেটো গাছে লেট ব্লাইট (নাভিধসা রোগ) দেখা দিয়েছে। এই রোগটি টমেটো গাছের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই রোগটি রাতারাতি এক গাছ থেকে অন্য গাছে ছড়ায়। তাই দ্রুত রোগাক্রান্ত গাছ দেখলে উপরে ফেলতে হবে ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫,২০১৭
জেএম