শেষ চেষ্টা হিসেবে অনেকেই ক্ষেতের আধা-পাকা ধান ঘরে তোলার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে চরাঞ্চলের সিংহভাগ জমিতেই ধানে এখনো পাক ধরেনি।
বিগত বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চরের জমিতে কালো বোরো চাষ করেছিলেন চরাঞ্চলের কৃষক। কিন্তু বর্ষা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগেই এবার যমুনায় পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আবাদ এবার পুরোপুরি মার যেতে পারে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
বগুড়ার ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের কালো বোরো ধান আবাদকারী চাষিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে যমুনার চরাঞ্চলে সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর ও ধুনটে ২ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা কালো বোরো ধান চাষ করেছেন।
তবে আকস্মিকভাবে যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ায় ধুনট উপজেলায় প্রায় ৫শ’ হেক্টর ও সারিয়াকান্দিতে প্রায় ২শ’ হেক্টরের মত জমি পানিতে তুলিয়ে গেছে।
আব্দুল মোমিন, জামিল হোসেন, মুনসেব আলীসহ চরের একাধিক কৃষক বাংলানিউজকে জানান, প্রত্যেক বছর যমুনার পানি নেমে যাওয়ার পর বিভিন্ন এলাকায় চর জেগে ওঠে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো তারা চরের জমিতে কালো বোরো জাতে ধান লাগিয়েছেন। অনেক জমির ধানে পাকও ধরেছে। আবার অনেক জমির ধান কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পেকে যাবে। কিন্তু তার আগেই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি সর্বনাশ করছে কৃষকের।
তবে সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শাহাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এ উপজেলায় চরের জমিতে লাগানো কালো বোরো জাতের ধানের জমির সিংহভাগ এখনো ঠিক রয়েছে। সামান্য কিছু জমি পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। এতে আপাতত কৃষকদের আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
ধুনট উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা আব্দুস ছোবাহান বাংলানিউজকে জানান, চরের জমি কালো বোরো ধান চাষের জন্য অত্যন্ত ভাল। তবে এ ফসল চাষে ঝুঁকি থাকে।
বন্যা বা অতিবৃষ্টির কারণে যে কোন সময় চরাঞ্চলে ক্ষেতের ফসল তলিয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যেই তা ঘটেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কৃষকদের ক্ষতির মাত্রাও বেড়ে যাবে। যোগ করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা আব্দুস ছোবাহান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআই