কারণ, নেট ব্লাস্ট রোগে অনেক ক্ষেতের ধান ইতোমধ্যেই চিটা হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে অনেক ক্ষেতের ফসল।
বগুড়ার বেশ কয়েকটি উপজেলায় এরইমধ্যে ধান কাটার কাজ শুরু করে দিয়েছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে এ জেলায় প্রায় ১ লাখ ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে উফসী ও হাইব্রিড জাতের ধান লাগান কৃষকরা। এরমধ্যে বিআর-২৯ জাতের ধান ছাড়া বাকি ধান পরিপক্ক হয়েছে। তবে অন্য জাতের বেশিরভাগ ধান এখনো পুরোপুরি পাকেনি। এজন্য আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে এ জেলার কৃষকদের।
কিন্তু আবহাওয়া প্রতিকূলে না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমাতে নন্দীগ্রাম, সদর, ধুনটসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার কৃষকরা কাঁচা ধানই কাটা শুরু করেছেন।
আবু সাঈদ, আইয়ুব আলী, রমজান আলীসহ একাধিক কৃষক বাংলানিউজকে জানান, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে গেল বছরের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত ফসলের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। ভালো দাম পাওয়ার আশায় বুক বেধে চলতি মৌসুমের শুরু থেকে বোরোর মাঠে ছিলেন কৃষকরা। কিন্তু সেই আশায় গুঁড়েবালি।
তারা জানান, পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধানগুলো না কাটতে পারলে পচে নষ্ট হবে। এতে লোকসান হবে আরও বেশি। তাই কাঁচা ধান কেটে বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে। রোদ উঠলে শুকিয়ে পরে মাড়াই করা হবে।
আপতত এ ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই-যোগ করেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক প্রতুল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে জানান, প্রকৃতির ওপর কারো হাত নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন উপজেলায় কৃষি বিভাগ থেকে মাইকে দিক নির্দেশনা প্রচার করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/বিএস