কয়েকদিন আগেও মরিচের কেজি ছিলো একশ' টাকা। তা বর্তমানে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৪০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড, বারোমাসি, কাজলি ও বিন্দি জাতের মরিচ রয়েছে। বদরগঞ্জে যে পরিমাণ মরিচ উৎপাদন হয় তা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের নানা জেলায় সরবরাহ করা হয়।
কৃষি অফিস সূত্রে আর জানা যায়, আমদানি বেশি হওয়া, চাহিদা অনুযায়ী মরিচ অন্যান্য জেলায় সরবরাহ না হওয়া ও সরকার মরিচের এলসি খোলায় মরিচের দর পতনের অন্যতম কারণ।
কথা হয় মরিচ চাষি শাহিন মিয়া (৩০) সঙ্গে, তিনি বাংলানিউজকে জানান, কয়েক দিন আগেও কাঁচা মরিচের মণ ছিলো চার হাজার টাকা। কয়েকদিনের ব্যবধানে বর্তমানে মরিচের মণ ১২শ' টাকায় নেমে এসেছে। এতে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
মরিচ ব্যবসায়ী জাহিদুল হক (৫০) বাংলানিউজকে জানান, রাজধানীসহ দেশের অনেক জেলায় বদরগঞ্জের মরিচ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এবারে হঠাৎ মরিচের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় মরিচের দর পতন হয়েছে। এতে করে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়েছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কনক রায় বাংলানিউজকে জানান, উপজেলায় মরিচের চাষ ভালো হওয়ায় ও আমদানি বেশি হওয়ায় মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। নানা জেলায় সরবরাহ শুরু হলেই কৃষকের লোকসান কিছুটা কমবে।
বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান বাংলানিউজকে জানান, কাঁচা মরিচের বাজারটি আসলে অস্থিতিশীল। অতি বৃষ্টিতে দাম বাড়ে আবার আমদানি বেশি হলে দাম কমে যায়। তাছাড়াও সরকার মরিচের এলসি খোলায় মরিচের দাম কমার অন্যতম কারন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৭
এএটি/