সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছরে উপজেলার কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বাঙালিপুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে মোট আট হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান ৮৬০ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল (উফসী) জাতের ধান সাত হাজার ২৭৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ধান ৬৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হতে পারে।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের বকশাপাড়ার কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, একের পর এক ফসল উৎপাদন করে দামে মার খাওয়ায় উৎসাহ ও পুঁজি দু’টিই হারিয়েছেন। যেহেতু আমন বছরের আবাদ, তাই প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে আমন আবাদ করছেন তিনি।
উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ার কৃষক জুলফিকার আলী বলেন, হামরা কৃষক মানুষ। আবাদ করি খাবার নাগে। কী করা যায় আর? বোরোতে সব গেলো। কপালোত যা ছিলো, হইছে। তার জন্য কি আর আবাদ থামি থাকিবে ব্যাহে?
১২ জনের কৃষি শ্রমিক দলের নেতা আইনুল জানান, বর্ষার ভরা মৌসুমে চারদিকে বৃষ্টির পানিতে আমন লাগানো শ্রমিকদের চাহিদা বেড়েছে। কে আগে কাজ করে নিতে পারেন তার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ফলে প্রতি বিঘা জমিতে আমন চারা তোলা ও রোপনে দুই হাজার ৩০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোমায়রা মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, আমন আবাদে কৃষি বিভাগ সুষম সার প্রয়োগ, চারা তৈরি ও রোপণে কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে লিফলেট বিতরণ করেছে। এই মুহূর্তে আমন ধানের বাজার বেশ চড়া।
কৃষকেরা আগাম আমন করায় ক্ষতি থেকে রক্ষা, উৎপাদন এবং দাম ভালো পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
হোমায়রা আরো জানান, কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিরলসভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। বন্যা বা আপদকালে যাতে আমনের চারা সংকট না হয়, সেজন্য চারা তৈরি করে রাখতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এসআই