উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ১৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। জমি চাষাবাদের জন্য ১৬ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে কৃষক আমনের বীজতলা তৈরি করেছেন।
এদিকে, আট দিনের অতি বর্ষণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা।
অনেক কৃষক আমনের খেত তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিলেও জলাবদ্ধতার কারণে পারছেন না। আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময়ে কৃষকরা আমনের বীজতলা তৈরি করে থাকেন। এ সময় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় পচে যাচ্ছে আমনের বীজতলার বীজ। পুনরায় কৃষকদের বেশি দাম দিয়ে বীজ কিনে বীজতলা তৈরি করতে হবে। গত আট দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের শঙ্কা আরো বেড়ে গেছে। অনেক স্থানের বীজতলা পানির নিচে থাকায় বীজ পচে গেছে। কৃষকরা জানান, পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ছোট পাথরঘাটা, ঘুটাবাছা, কালমেঘা, কামারহাট, কালীপুর, কাটাখালী, কাকচিড়া, রায়হানপুর, লেমুয়া, বাঁশতলা, কাঠালতলী, চরদুয়ানী, হাজীরখাল, মাছেরখাল, হাতেমপুর, রুহিতাসহ আরও অনেক অঞ্চলে জলাবদ্ধতায় বীজতলা ডুবে রয়েছে। উঁচু স্থানের বীজতলা কিছুটা ভালো থাকলেও নিচু স্থানের বীজতলার বীজ জলাবদ্ধতায় পানির নিচে পচে যাচ্ছে।
কৃষক হাবিবুর রহমান, আ. জব্বার, শাহজাহান, হানিফা, বেল্লাল, কামাল, সোনা মিয়াসহ আরও অনেকে জানান, তারা জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় বীজ পানির নিচে পচে যাচ্ছে। পানি না সরলে বীজ সম্পূর্ণ পচে যাবে। নতুন বীজ না করে জমি বপন করা যাবে না। বীজ না হলে এ বছর জমি খালি থেকে যাবে। এ অবস্থা বেশি দিন থাকলেও লোকসানের ঘানি টানতে হবে কৃষকদের।
এ বিষয় পাথরঘাটা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পাথরঘাটার নিম্নাঞ্চল এখনো ডুবে আছে। তবে দ্রুত পানি সরে গেলে বীজতলার কোনো ক্ষতি হবে না। তিনি আরও বলেন, পুনরায় যদি বৃষ্টিপাত হয় তাহলে বীজতলার অনেক ক্ষতি হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, ২৯ জুলাই, ২০১৭
আরএ