বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিবেকানান্দ রায় বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপযুক্ত স্থানে বীজতলা প্রস্তুতপূর্বক পর্যাপ্ত আমন ধানের চারা মজুদ রাখা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ বছর ৫৬ লাখ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে বন্যায় দেশের কয়েকটি জেলায় আমনের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এরই মধ্যে দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, জমির আমন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওই সব জমিতে চারা রোপণের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। এছাড়া আপদকালীন আরও বীজতলা তৈরির কাজ চলছে।
এই প্রথম সরকারিভাবে ৭২০টি ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। আর এ প্রযুক্তি অনুসরণে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরও ১ হাজার ভাসমান বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকরা।
যেসব প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের আমনের চারা প্রয়োজন হবে তাদের মাঝে বিতরণের জন্য পর্যাপ্ত চারা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আলোক সংবেদনশীল নাবী জাতের আমন ধানের চারা সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোপণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এমআইএইচ/এমএ