মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ফেনীর ছাগলনাইয়া-ভারতের ত্রিপুরা শ্রীনগর সীমান্ত হাটে গিয়ে মসলার দোকানে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।
হাটের দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তির বাজার এলাকার দোকানি শিবু বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, জিরা মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ থেকে ৩শ’ ২০ টাকায়, যা বাংলাদেশের বাজারে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা।
দারুচিনি ১শ’ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, দেশের বাজারে যার মূল্য ৫০ টাকার উপরে। গোলমরিচ ১শ’ গ্রামের দাম সীমান্ত হাটে ৯০ টাকা। দেশের বাজারে যা ১শ’ টাকার উপরে। লবঙ্গ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ টাকায়, দেশের বাজারে যার দাম হাজার টাকার উপরে, সীমান্ত হাটের ১১০ টাকার তেজপাতা দেশের বাজারের বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। পেস্তা আড়াইশ গ্রাম আড়াইশ’ টাকায়।
হাটে এদিন অন্যদিনের তুলনায় তিনগুণ মসলা বিক্রি হয়েছে বলেও জানান শিবু বিশ্বাস।
২০১৩ সালের ১২ জুন বাংলাদেশ ভারতের যৌথ ব্যবস্থাপনায় শ্রীনগর সীমান্ত হাটের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়। এ সীমান্ত হাটে উভয় দেশের ২৫টি করে ৫০টি দোকানে একজন ক্রেতা সর্ব্বোচ্চ একশ’ ডলার পর্যন্ত কেনা-কাটা করতে পারে। হাট বসে সপ্তাহে একদিন। বিকিকিনি চলে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সীমান্তের উভয় দিকে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীদের এ হাটের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সীমান্তহাটে ভারতের ব্যবসায়ীরা প্রসাধনী সামগ্রী, ক্রোকারিজ সামগ্রী, কনফেকশনারি সামগ্রীসহ মসলা, হলুদ, আদা, ধনিয়া, সরিষার তেল, জিরা, কিসমিস, গুড়ো দুধ, হরলিক্স, নারীদের ইমিটেশন সামগ্রী, কাপড়- চোপড় ইত্যাদি বিক্রি করে থাকেন। বাংলাদেশিরা বিক্রি করেন তৈরি পোশাক, নারিকেল, প্রসাধনী সামগ্রী, দুধ, খেজুর, বিস্কুট-চানাচুর, সেমাই, গুড়, কোমল পানীয়, মাছ, গাজর, শুটকি, তেল, মশারি, বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী, জুতা ইত্যাদি পণ্য।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
এসএইচডি/ওএইচ/জেডএম