প্রাকৃতিক ঘাসের এই বিকল্প খাবার পশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুব পুষ্টিকর। চাষির ব্যয়ও ভুসি বা অন্য খাবারের তুলনায় কম।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। ঘাসের বিকল্প এই গো-খাদ্যের উৎপাদন কৌশলের প্রদর্শনী করছে সাতক্ষীরার উন্নয়ন প্রচেষ্টা নামের এক সংস্থা। তারা বর্তমানে তালা উপজেলায় কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে দেশের যে কোনো প্রান্তের কোনো চাষি বা চাষি গ্রুপ চাইলে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।
সংস্থাটির কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এটি মূলত গম বা ভূট্টা থেকে উৎপন্ন করা হয়। এই পদ্ধতিতে গম ও ভুট্টার বীজ অংকুরিত হওয়ার পর ট্রেতে নিয়ে নিয়মিত শুধু পানি স্প্রে করে ৬ থেকে ৭ দিনে ২০ থেকে ২২ সেন্টিমিটার উচ্চতার সবুজ ঘাস উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি কেজি বীজ থেকে ৭ থেকে ৯ কেজি ঘাস পাওয়া যায়।
এর সুফল হচ্ছে, এটি অন্য খাবারের অর্ধেক দিলেই পশু সমপরিমাণ পুষ্টি পায়। ফলে ব্যয় কমে যায়। আবার দুধ উৎপাদন বেড়ে যায় সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
ইইউডি