প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় কুড়িগ্রামের সচেতন মহলে। প্রতিবেদনটি নজরে আসে জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও।
এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘বন্যা পরবর্তী চরের কৃষি ব্যবস্থাপনার উপর আলোচনা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিষয়ভিত্তিক এই আলোচনায় কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চল সীমান্তবর্তী বিভিন্ন চরের কৃষকদের নিয়ে ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
অক্সফাম বাংলাদেশের অর্থায়নে এমজেএসকেএস এর সার্বিক সহযোগিতায় সলিডারিটি ও এলনা প্রকল্প এই বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, চরাঞ্চলের কৃষক, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ নেন।
আলোচনায় চরাঞ্চলের আবাদি জমির সেচ ব্যবস্থাপনা সহ উন্নতবীজ প্রাপ্তির সহজলভ্যতার উপর জোর দাবি জানায় কৃষক প্রতিনিধিরা। শেষে চরের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে জিও, এনজিও এর সমন্বয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বাদল চন্দ্র হালদার এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন- জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মেহেদি হাসান, জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই, উলিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অশোক কুমার রায়, সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মন্ডল, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আই প্রতিনিধি শ্যামল ভৌমিক, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ফজলে ইলাহী স্বপন, এটিএন বাংলার প্রতিনিধি ইউসুফ আলমগীর, এলনা প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার লাইজু বেগম, সলিডারিটির মোর্শেদা বেগম বীথি, কমলা রাণী পাল প্রমুখ।
সাহেবের আলগা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের কৃষক প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন, কৃষক আবুল হোসেন, লিয়াকত আলী, নূরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এফইএস/আরআই