বিশেষত মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৮-১০টির এক একটি আঁটি ৪/৫ টাকায় কিনে। পরে ব্যবসায়ীরা সেগুলো শুকিয়ে থাকেন।
বিশেষত মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ১৮ থেকে ২০টি ফুলঝাড়ুর কাঠি দিয়ে একটি আটি বাধেঁন আর এক একটি আটি বিক্রি হয় ৭/৮ টাকায়। ব্যবসায়ীরা এগুলো কিনে প্রথমে শুকিয়ে থাকেন। পরে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এসে প্রতি আটি ঝাড়ু ফুল নিয়ে যান ১০/১২ টাকা দরে কিনে জিপ বা ট্রাকের মাধ্যমে সমতলের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান। অন্যান্য বছরের মতো এবারও খাগড়াছড়ি জেলা বিভিন্ন এলাকার উৎসাহী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঝাড়ু ফুলের ব্যবসায় নেমে পড়েছেন।
বাণিজ্যিকভাবে ফুলঝাড়ুর সুফল দেখে অনেকেই নিজের অব্যবহৃত টিলা-পাহাড়ে ফুলঝাড়ু আবাদের সম্ভাবনা দেখছেন। পাহাড়ের মাটি আর প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকা ফুলঝাড়ুর মাধ্যমে বদলে যেতে পারে প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রাও। খাগড়াছড়ির ঝাড়ু ফুল ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ঝাড়ু ফুল লাভজনক ব্যবসা। বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে এ ফুল সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমরা সরবরাহ করে থাকি। কাঁচা ঝাড়ুফুল শুকিয়ে আঁটি বেঁধে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করি। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এটি সরবরাহ করতে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ঝাড়ু ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী গুলজার হোসেন ও মো. জাকির বাংলানিউজকে জানান, লাভজনক এ ব্যবসায় অনেকে আসতে চাইছে। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অনেকে আসতে পারছেনা। যদি এই খাতে লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করে তাহলে সরকার এ ব্যবসা থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে। খাগড়াছড়ির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন,‘পাহাড় থেকে ফুলঝাড়ু সংগ্রহ থেকে শুরু করে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। লাভজনক এ ব্যবসা থেকে গতবছর প্রায় পাঁচ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এবছর এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ টাকা আদায় হয়েছে। পুরো মৌসুমে রাজস্ব গেলো বছরকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাণিজ্যিকভাবে ফুলঝাড়ুর সুফল দেখে অনেকেই নিজের অব্যবহৃত টিলা-পাহাড়ে ফুলঝাড়ু আবাদের সম্ভাবনা দেখছেন। পাহাড়ের মাটি আর প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকা ফুলঝাড়ুর মাধ্যমে বদলে যেতে পারে প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রাও।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
এএটি