এছাড়াও গমের শীষের দানা অপুষ্ট ও কুঁচকে যাচ্ছে এবং দানায় ধূসর বর্ণের ছোট ছোট দাগ দেখা যাচ্ছে।
এ বছর জেলায় ৬ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট নামের এ ছত্রাকের আক্রমণ হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের হিন্দা গ্রামের পশ্চিম কৃষক আব্দুল গফারের তিন বিঘা, আকরাম আলীর দুই বিঘা, বশির আহমেদের দুই বিঘা, জামাত আলীর চার বিঘা, সাইফুল ইসলামের দুই বিঘা, আখসার আলীর এক বিঘা জমিতে গমের শীষে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম ও আখসার আলী বাংলানিউজকে জানান, প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণেই গমে এ ভাইরাসের আক্রমণ হয়। গমের শীষ সাদা হয়ে যাওয়ায় ক্ষেতে নাটিভো, ইস্কর ও ফলিকন নামের বিষ স্প্রে করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। গমের শীষ সাদা হয়ে গেছে, দানা নেই।
জেলার সদর উপজেলার রাধাগোবিন্দপুর, গোভিপুর, রাইপুর, ঝাঁঝাঁ, হরিরামপুর, ইছাখালি, ফতেপুর, গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা, সহরবাড়িয়া, বাওট, বাদিয়াপাড়া, নওদাপাড়া, কাজীপুর, তেঁতলবাড়িয়া, সহড়াতলা, পীরতলা, মুজিবনগর উপজেলার শীবপুর, মনোহরপুর, রুইতনপুর, দারিয়াপুর, সোনাপুরসহ বিভিন্ন স্থানে উল্লেখযোগ্য হারে গমের চাষ করেছেন কৃষকরা।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম সাহাবদ্দীন বলেন, গত বছর মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার ব্লাস্ট ভাইরাস সংক্রমিত গম ক্ষেত পরিদর্শন করেছিলেন ঢাকা থেকে আসা একটি বিশেষজ্ঞ দল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর তোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে সাত সদস্যের দলটি বিভিন্ন এলাকার গম ক্ষেত পরিদর্শন করেন। এসময় ব্লাস্ট আক্রান্ত গমের নমুনা সংগ্রহ ও নতুন জাতের গম উদ্ভাবনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
তিনি আরো জানান, সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া বিদেশ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল জেলার বিভিন্ন এলাকার ব্লাস্ট ভাইরাস সংক্রমিত গম ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। তবে এটি ব্লাস্ট ভাইরাস না। অতিরিক্ত কুয়াশা ও বৃষ্টি হওয়ায় জেলার কিছু কিছু এলাকায় নতুন রোগ দেখা দিয়েছে। আমরা চাষিদের পরামর্শ দিয়েছি নাটি ভো স্প্রে করার করার জন্য।
মেহেরপুর জেলা কৃষি উপ পরিচালক ড. মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকার ভাইরাস সংক্রমিত গম ক্ষেত পরিদর্শন করা হয়েছে। কিছু গম ক্ষেত ব্লাস্ট আক্রান্ত হয়েছে। এ ছত্রাক প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
আরএ