আড়িয়াল বিলের শুরুটা মূলত গাদিঘাট থেকেই। এখানকার মিষ্টি কুমড়া দুই মনেরও বেশি ওজনের হয়ে থাকে।
আড়িয়াল বিলের চাষী সাত্তার মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সার, ওষুধ, পরিবহন খরচসহ আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যে পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, তাতে সবকিছু দিয়ে লাভের টাকা আসবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। এসব মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকাও বিক্রি হয়। এছাড়াও পিস হিসেবে ২০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। কুমড়া আনা-নেওয়ার কাজে ব্যস্ত শাওন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক হিসেবে এখানে অনেকেই আসে কাজ করতে। জমি থেকে পরিপক্ক মিষ্টি কুমড়া মাথায় তুলে নিয়ে রাস্তার পাশে স্তূপ আকারে রাখা হয়। নৌকা দিয়েও দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। চুক্তি হিসেবে পারিশ্রমিক ৭০০০ হাজার টাকা পেয়েছি।
আড়িয়াল বিলের চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আড়িয়াল বিলের মাটি খুব উর্বর। ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয় এবং চাষাবাদ করা হয় কুমড়া। অন্যান্য আরও সবজির সঙ্গে এসব কুমড়া চাষাবাদ হয়ে থাকে।
মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. হুমায়ূন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষার পানি নেমে গেলে কচুরিপানা স্তূপ করে কুমড়ার চারা লাগানো হয়। অনেকেই বীজ সংরক্ষণের জন্য নিজ বাড়িতেও কুমড়া সংরক্ষণ করে থাকে। এখানকার মিষ্টি কুমড়া ৮০-৮৫ কেজি পর্যন্ত ওজনের হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, আড়িয়াল বিলের ২৭০ হেক্টর জমিতে এসব কুমড়া চাষ হয়। গত বছরে ১১ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন কুমড়া আড়িয়াল বিল থেকে উৎপাদন হয়েছে যা ৪২ টন প্রতি হেক্টরে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এনটি