এদিকে, আলু সংরক্ষণের জন্য জেলায় ৭৬টি হিমাগারে রয়েছে, যার ধারণ ক্ষমতা সাড়ে চার লাখ টন। হিমাগারে আলুর বস্তা ৮০ কেজির পরিবর্তে ৫০ কেজির বস্তা রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
চরকেওয়ার ইউনিয়নের হামিদপুর এলাকার কামরুল হাসান রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, ১১ একর জমিতে চলতি মৌসুমে আলু আবাদ করি। একর প্রতি এক লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৮০ কেজির বস্তা ৫০-৫৫ টাকা কিন্তু ৪০ কেজির বস্তা কিনতে লাগছে ৪৬-৪৮। তাই তুলনামূলকভাবে বস্তার দাম বেশি লাগছে।
তিনি আরো বলেন, এবার আলুর সাইজ অনেক ছোট। হিমাগারে প্রতি ৫০ কেজির বস্তা ভাড়া ১৯০ টাকা বছরে। ২৪ জন শ্রমিক জমিতে কাজ করছে, দৈনিক মজুরী ৫০০ টাকা দিয়েছি। বর্তমান বাজারে আলুর দাম প্রতি কেজি সাড়ে সাত টাকা, মণ প্রতি ৩০০-৩২০ টাকা আলু। বর্তমান আলুর মন প্রতি খরচ পড়ে ৩৬৫-৩৭০ টাকা এবং আলুর দাম আছে ৩৩০ টাকা।
টংগিবাড়ি উপজেলার মো. শহিদ শেখ বাংলানিউজকে জানান, ১০৬ শতাংশ জমিতে আলুর আবাদ শুরু করি। ১০৫ মনের কম আলু জমি থেকে তোলার উপযোগী হয়েছে। অনাবৃষ্টি, লাদা পোকার কারণে আমিসহ আশে পাশের বেশিরভাগ জমির কৃষক কাঙ্খিত ফলন পায়নি।
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেক হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে প্রায় ১৫-২০ দিন পর এবারের আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৩০-৩৫ শতাংশ আলু হিমাগারে পৌঁছেছে এবং মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, মুন্সীগঞ্জে ৩৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু বপনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৩৮ হাজার ৮০০ জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। তবে মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টির কারণে ৫০০ হেক্টর জমিতে কম আলু রোপণ করা হয়। নিজ বাড়িতে মাচা করে ২-৩ মাস পযর্ন্ত আলু সংরক্ষণ করে রাখা যায়। কিন্তু দাম কম থাকায় কৃষকরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এনটি