গাছটি নিয়েই দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পর্যায়ে। অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মধুপুর সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুর বাছেদ, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গুলনাহার বেগম, সুব্রত দেবনাথ ও মো. ইমাম হোসেন।
কৃষক মকবুল মিয়া বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের জানান, গতবছর স্থানীয় চাপড়ী বাজার থেকে হাইব্রিড লাউয়ের বীজ এনে রোপণ করেন তিনি। সেই গাছের লাউ থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। পরে বীজ চলতি বছরের ফের রোপণ করলে গাছে শতাধিক লাউ ধরে। কিন্তু হঠাৎ করেই মকবুলের নজরে আসে এই অস্বাভাবিক লাউ।
মকবুল জানান, ওই বোঁটা থেকে তিনটি লাউ খাওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে আরও ৫/৭টি নতুন লাউ ধরেছে। বর্তমানে বোঁটায় ৪৫টি লাউ রয়েছে।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম সেলিম রেজা মল্লিক বাংলানিউজকে জানান, দুই পাতার দুরত্ব কমে যাওয়ায় হরমোনিক কারণে অল্প জায়গা এমন গুচ্ছ লাউ ধরে থাকতে পারে। এটা কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়, কখনও কখনও এমনটা হতেই পারে। গাছটিতে নারী ফুলের সংখ্যা বেশি থাকাও কারণ হতে পারে।
ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন আহমেদ জানান, পরবর্তীতে এমনটা হয় কিনা দেখার জন্য আমরা এর বীজ সংরক্ষণ করবো।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা ওই বোঁটার লাউ থেকে বীজ সংরক্ষণ করতে বলেছেন। তারা ওই বীজ থেকে গাছরোপণ করে গবেষণা পরিচালনা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এএটি