এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, ২০১২ সালে শালপাড়া গ্রামে ‘হারুন ব্রিকস’ নামে একটি ইটভাটা স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর থেকেই মালিক কর্তৃপক্ষের অব্যস্থাপনার কারণে প্রতি বছর ইটভাটার নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে বোরো ধান ও আশপাশের ফলদ গাছ পুড়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইট পোড়ানো বন্ধের পরও কমপক্ষে তিনদিন মেশিন চালিয়ে ভাটার অভ্যন্তরের গ্যাস চিমনির উপর দিয়ে বের করে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তা না করে এক সপ্তাহ আগে ভাটা কর্তৃপক্ষ হঠাৎ মেশিন বন্ধ করে ওইদিনই রাতে স্লাভ খুলে নিচ দিয়ে ভাটার ভেতরের গ্যাস বের করে দেয়। এতে বিষাক্ত গ্যাসে ভাটার উত্তর-পশ্চিম পাশের প্রায় ১শ’ বিঘা জমির বোরো ধানসহ বেশ কিছু ফলদ বৃক্ষ পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবুল কাশেম, গোলাম হোসেন, নূর আলমসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, বোরো ধানের সদ্য বেরিয়ে আসা শীষে বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব পরায় সব ধান পুড়ে হয়ে গেছে। এতে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। ভুক্তভোগী কৃষকরা আরো বলেন, গত বছরও এমন ঘটনায় প্রশাসনের চাপে যত সামান্য ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন ভাটা মালিক হারুনুর রশিদ। তবে স্থায়ীভাবে সিস্টেম পরিবর্তনের আশ্বাস দিলেও তা তিনি করেননি। আর এজন্য এবারো আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। এ সময় এ ইটভাটা স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইটভাটা মালিক হারুনুর রশিদ ও তার ম্যানেজার উজ্জ্বল হোসেনের মোবাইল ফোনে বার বার কল দেওয়া হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম বলেন, ওই ইউনিয়নের দায়িত্বরত কৃষি উপ-সহকারী (বিএস) সাহাবুদ্দীনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন করে এর একটি সমাধান খুঁজবেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, গত বছর ইটভাটা মালিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। কৃষকদের অভিযোগ পেলে এবারো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সে সঙ্গে ওই ইটভাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
আরবি/