লিচুর জেলা দিনাজপুরের প্রতিটি বাগানে এবার ভালো ফলন হওয়ায় মুনাফার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। কিন্তু দুই সপ্তাহে এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও বৃষ্টিপাতে বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন লিচু চাষি, মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বাজারে উঠবে রসালো এ ফল। দিনাজপুরে বিভিন্ন প্রজাতির লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি অন্যতম। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে লিচু দেশ ও দেশের বাইরে রফতানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর এলাকার লিচু চাষি মো. শাকিল আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগ-বালাই থেকে গাছ ও লিচুর গুটিকে মুক্ত রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে বালাইনাশক। গত দুই সপ্তাহের বৃষ্টিপাতের কারণে ঠিক মতো বালাইনাশক দেওয়া সম্ভব হয়নি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক দেওয়া হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে স্বল্পমূল্যে বাজারে পাওয়া যাবে রসালো এ ফল।
ঢাকা থেকে আগত মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর লিচুর মৌসুমে দিনাজপুরে আসেন। দিনাজপুরের লিচু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। এবারও দিনাজপুরে এসেছেন। লিচুর ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করছি, সব ঠিক থাকলে এ বছর বাণিজ্য ভালো হবে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড তৌহিদুল ইকবাল বলেন, চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৭'শ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে গাছের প্রতিটি ডালের শাখায় দুলছে সবুজ লিচুর গুটি। তবে প্রতি মৌসুমের এ সময়ে প্রচণ্ড তাপে মুকুল ও লিচুর গুটি পড়ে যায়। কিন্তু এবার তেমন হয়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে রেকর্ড পরিমাণ লিচুর উৎপাদন সম্ভব বলে আশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৮
ওএইচ/