বুধবার (৯ মে) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউপির প্রান্তিক চাষিরা বোরো ধান কেটে ঘরে নেওয়ার পর ওই জমিতেই আউস ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এসময় কথা হয় কালুপাড়া ইউপির কুমারপাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলামের সঙ্গে।
তিনি আরও বলেন, সরকার আউস ধান চাষে বিনামূল্যে বীজ ও সার দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন।
কথা হয় দামোদরপুর ইউপির জেলেপাড়া গ্রামের কৃষক নুরুন্নবী মিয়ার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় তিন বিঘা জমিতে বোরো ধান কেটে আউস ধানের চারা রোপণ করছি। আশা করছি, ওই জমি থেকে বছরে তিনবার ধান পাবো।
তিনি আরও বলেন, আউস ধানের ফলনও বেশ ভালো। একর প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ মণ (৪০ কেজি) ধান পাওয়া যায়।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গোটা উপজেলায় প্রায় ১১৫ হেক্টর জমিতে আউস ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫০ হেক্টর জমিতে আউস ধানের চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। বাকিটা খুব দ্রুতই শেষ হবে।
আউস ধানের জাতগুলো হলো- ব্রি ধান-৪৮, ব্রি ধান-৪৩, বি আর-২৬, হাইব্রিড, বি আর-৩, নেরিকা মিউটেন্ট প্রভৃতি।
কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, ২০ দিন বয়সি চারা জমিতে রোপণ করা হয় এবং এ ধান ১শ’ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে কাটা সম্ভব। এ কারণে একই জমিতে আমন ধান রোপণ করতে কোনো সমস্যা হয় না।
বদরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক রায় বাংলানিউজকে জানান, একই জমিতে বছরে তিনবার ধান ফলাতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে সরকার কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করছে। এতে কৃষকদের মধ্যে আউস ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
তিনি আরও জানান, এ সময়ে রোপণকৃত ধানটি আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে কাটা যাবে। এতে আমন ধান রোপণে কোনো সমস্যা হবে না।
বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এবারে বোরোর সময়টাতে ব্রি ধান-২৮ এ জেলার অনেক জায়গায় নেক ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলেও এ উপজেলায় কৃষি অফিসের সঠিক তদারকির কারণে কৃষকের ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান, একই জমিতে তিনবার ফসল পেতে সরকারিভাবে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ধানের বিভিন্ন রোগ দমনে কৃষি অফিসের পরামর্শ
নিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
আরবি/