ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

পতিত জমিতে আউশ ধান চাষে লাভবান কৃষক

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
পতিত জমিতে আউশ ধান চাষে লাভবান কৃষক জমিতে ধান কাটছেন এক কৃষক। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: কৃষকরা সাধারণত বোরো আর আমনের মাঝামাঝি সময়ে পতিত জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে আউশ ধান চাষ করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে পতিত জমিতে আউশ ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন ফেনীর কৃষকরা।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরও আশাবাদী। তারা জানায়, ফেনীতে আউশের জাত ব্রি ধান, ৪২, ৪৩ ও ৪৮।

এছাড়া কিছু জমিতে বি-আর ২২ ও ২৩ জাতের ধান চাষ হয়েছে। এবার আবাদ ভালো হয়েছে। তাই লক্ষ্যমাত্রার চাইতে ফলনও আশানুরূপ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। কথা হয় ফেনী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, ৫০ শতক পতিত জমিতে আউশ ধান চাষ করেছেন। বিজ, সার ও মজুরিসহ তার মোট খরচ হয়েছে সাত হাজার টাকা। ধান বিক্রি করে আয় হবে ২৪ হাজার টাকা।

আফাজ উদ্দিন আরও জানান, আউশে সেচ খরচ প্রয়োজন হয় না। তাই স্বল্প খরচেই অধিক উৎপাদন সম্ভব। আমন হলে এ ফলনে দ্বিগুণ খরচ হতো। আউশ ধান।  ছবি: বাংলানিউজকৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ফেনীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. জয়েন উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৮ হাজার ৬শ’ ৬৩ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ২শ’ ২৫ হেক্টর। ফলন হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধান।

তিনি জানান, বর্ষার এ সময়ে সাধারণত জমি পতিত থাকে। আউশ ধান চাষে সেচের প্রয়োজন হয় না। ৯০ থেকে ১শ’ দিনেই আউশ ধান ঘরে তুলতে পারেন কৃষকরা। এ সময় ধানের দামও সাধারণত বেশি থাকে। তাই বোরো অথবা আমনের চেয়ে ফলন কম হলেও আউশ আবাদে লাভবান হন কৃষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এসএইচডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।