উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শকে স্বাগত জানিয়ে কৃষকেরা সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা বিভক্ত ৪০টি কৃষি ব্লকে একযোগে আলোক ফাঁদ স্থাপন করে।
আলোক ফাঁদের সুফল সম্পর্কে উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের কৃষক সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মনে করতাম ফসলে পোকা থাকলেই তা ক্ষতি করে।
একই এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারবো কোনো পোকার উপদ্রব বেশি। এতে সে অনুযায়ী আমরা ওষুধ দিতে পারবো। এছাড়া এ পদ্ধতির খরচও কম। আর বাড়িতেই তৈরী করা যায়।
মিরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার উপজেলার ৪০টি ব্লকে একযোগে এ আলোক ফাঁদ স্থাপন করি। সংশ্লিষ্ট এলাকায় কৃষকদের নিয়ে আমরা সরেজমিনে তা পরিদর্শন করি। এসময় ধানের জমিতে উপকারী ও ক্ষতিকর পোকা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে ক্ষতিকর পোকার ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেই।
তিনি আরো জানান, আলোক ফাঁদে আকর্ষিত হয়ে যেসব পোকা এসেছে তার মধ্যে ধানের শত্রু পোকা। এছাড়া সবুজ পাতা ফড়িং, সাদা পাতা ফড়িংয়ের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যেটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। এটি একটি সহজলভ্য পদ্ধতি। কৃষকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই ধানের ক্ষেতে পোকামাকড়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। এছাড়া মিরপুরে আলোকফাঁদ ব্যবহারে কৃষকরা বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ব্লকে কৃষকরা এ আলোকফাঁদ ব্যবহার করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এনটি