ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

রাঙামাটির আম যুক্তরাজ্য-ইতালিতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
রাঙামাটির আম যুক্তরাজ্য-ইতালিতে

ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে নানা প্রতিকূলতার পরও এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায়ও আশানুরূপ ফল এসেছে। এরইমধ্যে ওই উপজেলার সুস্বাদু আম ইউরোপে রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২৭ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বলা হয়, করোনার এই সংকটের মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে নানিয়ারচর উপজেলার বগাছড়ি থেকে দুই হাজার ৬০০ কেজি ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালি আম ইতালিতে এবং ৪০০ কেজি আম যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে।

এছাড়া আরও সাড়ে আট হাজার কেজি আম রপ্তানির ক্রয়াদেশ রয়েছে।

চীনেও আম রপ্তানির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ মৌসুমে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টন রপ্তানিযোগ্য আম এ উপজেলা থেকে সরবরাহ করা যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে বাস্তবায়নাধীন ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ সহযোগিতায় এ উপজেলায় ল্যাংড়া, হিমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকাসহ অন্যান্য জাতের আম চাষ দিন দিন বাড়ছে। অথচ কয়েকবছর আগেও এলাকার চাষিরা আমে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব, কম ফলন এবং পরিচর্যার অভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় আম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন।

‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ পরিচালক মো. মেহেদী মাসুদ জানান, এ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় হর্টিকালচার সেন্টারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট আম চাষিদের বাগানের নিবিড় পরিচর্যা, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। এতে এ এলাকার আম বাগানের অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে এবং রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বেড়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রকল্প এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রকল্পের নিজস্ব ট্রাকের মাধ্যমে আম পরিবহন করা হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প’-এর মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় বাড়ানোর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
এমআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।