নীলফামারী: শীত ও কুয়াশা বাড়ছে গোটা নীলফামারী জেলায়। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুরে গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় বীজতলার চারা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। চারা বাঁচাতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন। অনেকেই পলিথিন ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ চারার ওপরে জমে থাকা শিশির ফেলে দিচ্ছেন, যেন চারাগুলো ভালো থাকে।
গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির ন্যায় কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডায় বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেক কৃষক বিকেল হতেই তাদের রোপণ করা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। জেলার অনেক এলাকায় বীজতলায় চারা হলুদ ও লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন চললে বীজতলা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থানে বীজতলা রক্ষায় কৃষকরা সাদা ও রডিন পলিথিন মুড়িয়ে দিয়েছেন।
জেলায় ঘন কুয়াশার কারণে আলুর ক্ষেতে ‘লেট ব্লাইট’ রোগ দেখা দিয়েছে। এতে ছত্রাক ধরে পাতা ও কাণ্ড পচে গাছ মরে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা বাজার থেকে ওষুধ কিনে স্প্রে করছেন।
নীলফামারী কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসিন রেজা বাংলানিউজকে জানান, প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশায় বীজতলা রক্ষা করতে জিরো পলিথিনের ব্যবহার ও কুয়াশা প্রতিরোধে ওষুধ স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বীজতলায় জিপসাম ও ইউরিয়া দিতে বলা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে রোদ পেলে চারা সজিব হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
কেএআর