মাগুরা: মাগুরায় অ্যাভোকাডো উৎপাদনে সফলতা পেয়েছে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার। ফলটি দেখতে অনেকটা আমের মতো।
মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার অফিস সূত্র জানিয়েছে, মূলত আফ্রিকান দেশে এই অ্যাভোকাডোর চাষ হয়ে থাকে। তবে এই ফলের চাহিদা রয়েছে পৃথিবী জুড়ে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে হর্টিকালচার সেন্টারগুলোতে অ্যাভোকাডোসহ অন্যান্য চড়া দামের যে সব ফল ও ফসল রয়েছে সেগুলোর সম্প্রসারণ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহা পরিচালক ড. হামিদুর রহমান বলেন, অ্যাভোকাডো পৃথিবীতে আলোচিত একটি দামি ফল। এই ফলটির দামই কেবল চড়া নয় এর পুষ্টিগুণও অনেক। ফলটি ট্রপিক্যাল অঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে। মেক্সিকো থেকে শুরু করে বর্তমানে এই ফলের আবাদ সারা পৃথিবীতে হচ্ছে। সব থেকে বড় কথা মাগুরা হার্টিকালচার সেন্টারে অ্যাভোকাডোর আবাদ হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শুরু করে ফরিদপুরের বামনডাঙ্গা হর্টিকালচার সেন্টারে অ্যাভোকাডোর চাষ হচ্ছে।
মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. রোকনুজ্জামান বলেন, অ্যাভোকাডো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। মূলত এটি বিদেশি একটি ফল। এই ফল দেখতে অনেকটা আমের মতো, রং গাঢ়ো সবুজ। ফলটি যখন পেকে যায় তখন ভেতরের অংশ অনেকটা মাখনের মত দেখায়। খেতে খুবই সুস্বাদু। আমরা হর্টিকালচার সেন্টারের মা গাছ থেকে চারা উৎপাদন করে বিক্রি করছি। প্রতিটা চারার দাম ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। বাজারে এই ফল কেজিপ্রতি এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
তিনি আরো বলেন, অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর এই অ্যাভোকাডো। আমরা হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসসহ বাসা-বাড়ির ছাদে এই ফলের চারা রোপণ করার পরামর্শ দিয়ে আসছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২১
আরএ