ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

পাট নিয়ে ভোগান্তিতে চাষিরা 

এম. রবিউল ইসলাম রবি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২১
পাট নিয়ে ভোগান্তিতে চাষিরা 

ঝিনাইদহ: কয়েক বছর পাটের দাম ছিল ভাল। সেই আশায় হরিণাকুন্ডু উপজেলার মাঠের পর মাঠ কৃষকেরা এবার পাট চাষ করেছেন।

যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর পাটও ভালো হয়েছে।

কৃষকদের আশা ছিল ক্ষেতের পাট কেটে ওই জমিতেই আমন ধান রোপণ করবেন। কিন্তু এ বছর খুব একটা বৃষ্টি না হওয়ায় পাট পচানোর জলাশয়গুলোতে পানি না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। অনেকেই স্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর বা ডোবায় পানি তুলে বিকল্প উপায়ে পাট পচাতে পারলেও অধিকাংশ কৃষক পানির অভাবে তাদের ক্ষেতের পাট কাটতে পারছেন না। ফলে পাট চাষ করা জমিগুলোতে এ বছর রোপা আমন চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।  

হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোলতাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমাদের এলাকায় এক সময় কৃষকেরা ব্যাপকভাবে পাটের চাষ করতেন। বিগত কয়েক বছর ধরে পাটের দাম কম থাকায় পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন অনেকেই। আবার দুই-তিন বছর পাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা পাট চাষে ফিরে এসেছে। তিনি নিজেও এ বছর তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। যার আনুমানিক ব্যয় হয়েছে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। কিন্তু পাট পচানোর পানি না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনি।  

কৃষকেরা আরো জানান, পাট কেটে ওই জমিতেই আবার আমন ধানের চাষ করবেন এমন আশা ছিল তাদের। কিন্ত তারা পাট পচাতে যেসব নদী, খাল, বিলের পানি ব্যবহার করতেন এ বছর ভারী বর্ষা না হওয়ায় জলাশয়গুলোতে তেমন পানি নেই। যে কারণে তারা ক্ষেত থেকে পাট কাটতে পারছেন না। ফলে ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই শুকিয়ে খড়ি হচ্ছে।

হরিণাকুন্ডু উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. হাফিস হাসান বাংলানিউজকে জানান, এ বছর ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলাতে ৩৭শ’ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। কিছু কৃষক স্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর বা ডোবায় পানি তুলে বিকল্প উপায়ে পাট পচ্ছাছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।