ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে রপ্তানি করতে চাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে রপ্তানি করতে চাই

ঢাকা: সরকার উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে রপ্তানি করতে চায় বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।  

সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে শাকসবজি, আলু, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া রোডম্যাপের ওপর মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের শাকসবজি, আলু ও ফলমূল রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। বিভিন্ন ফসল ও খাদ্যে আমরা এখন উদ্বৃত্ত। সেজন্য রপ্তানির বাধাসমূহ দূর করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। গত এক বছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি অনেকগুণ বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে রপ্তানির পরিমাণ আরো বাড়বে।

তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় গত জুনে কমিটি গঠন করে। এ কমিটি শাকসবজি, ফলমূল রপ্তানির জন্য একটি ও আলু রপ্তানির জন্য একটিসহ মোট দুটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে পারলে একদিকে কৃষকরা লাভবান হবে, অন্যদিকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।  

এ সময় শাকসবজি, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানি বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া রোডম্যাপ উপস্থাপনা করেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ রাজু আহমেদ এবং আলু রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া রোডম্যাপ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের গবেষণা সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ড. মো. রেজাউল করিম।

খসড়া রোডম্যাপ উপস্থাপনায় জানানো হয়, শাকসবজি, আলু, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রধান প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি তা সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এ সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০২১-২২ সালে এক দশমিক ৬৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (সম্ভাব্য) ও ২০২২-২৩ সালে (জুন পর্যন্ত) দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার (সম্ভাব্য) আয় করা সম্ভব হবে। আলু রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০২২ সালে ৮০ হাজার টন, ২০২৩ সালে এক লাখ ২০ হাজার টন, ২০২৪ সালে এক লাখ ৮০ হাজার ও ২০২৫ সালে দুই লাখ ৫০ হাজার টন আলু রপ্তানি করা সম্ভব বলে খসড়া রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়েছে।  

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধি, রপ্তানিকারক, প্রক্রিয়াজাতকারী ও কৃষক প্রতিনিধিরা মতবিনিময় করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।