ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

‘পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করাই চ্যালেঞ্জ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
‘পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করাই চ্যালেঞ্জ’ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক

ঢাকা: দানাজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় দেশে করোনাকালেও খাদ্য সংকট নেই। দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই।

এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সবার জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করা।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্যতম লক্ষ্য হলো সব মানুষের জন্য পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করা। আমরা মানুষকে পুষ্টিজাতীয় খাবার দুধ, মাছ, মাংস, ডিম, ফলমূল প্রভৃতি খাবারের নিশ্চয়তা দিতে চাই। তরুণ ও আগামী প্রজন্মকে আমরা আরও মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি সবসময়ই বহু অনুষ্ঠানে এ কথা বলে এসেছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এ লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে চাই। সেজন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

‘ভাত খাওয়া কমাতে বলেছেন কৃষিমন্ত্রী’ সম্প্রতি এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার বক্তব্যকে ভুলভাবে ও আংশিকভাবে উপস্থাপন করে কয়েকটি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মাধ্যমে একটি ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই এই ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। কিছু ভুঁইফোঁড়, লালকাগজ, সবুজকাগজ পত্রিকা একদম ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচার করেছে, যার কোনো সামান্যতম ভিত্তি নেই। কোনো লিডিং বা শীর্ষস্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ ধরনের ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচার করে নি।

তিনি বলেন, ভুঁইফোঁড় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যাচাই-বাছাই না করে কিছু শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা তা প্রচার করেছে, প্রবন্ধও ছেপেছে। তারা খবরের সত্যতা, সঠিকতা ও সূত্র ভালভাবে যাচাই করে নি। এদের আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ১০.৭৭%। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৮.২৬%।  

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতির সঙ্গে বাস্তব অগ্রগতির দিকেও নজর দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কি প্রভাব পড়েছে ও কি ফলাফল এসেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। ফলাফল ভালো না এলে প্রজেক্ট করে লাভ হবে না।

সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
জিসিজি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।