হবিগঞ্জ: আজকাল ইট-পাথরের সভ্যতার শহরগুলো থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। তবে কিছু সৌখিন মানুষ এখনও সেই সবুজকে ধরে রাখতে বাড়ির ছাদে তৈরি করছেন বাগান।
তিনি নিজের ছাদ, বাড়ির আঙিনা এবং জানালার পাশে তিন শতাধিক জাতের ফুল, ফল আর ওষুধি গাছ লাগিয়ে বাড়িটিতে সবুজের সমারোহ করেছেন। এ ছাড়াও ছাদে রয়েছে দেশীয় মোরগ-মুরগি পালনের জন্য একটি ছোট্ট ঘর। এতে সব সময় ২০/২৫টি মোরগ- মুরগি পালন করেন তিনি।
আলেয়া আক্তার হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের সহধর্মিনী।
তাদের হবিগঞ্জ শহরের টাউন হল রোডের বাসাটির সামনে গেলেই দেখা মেলে টবে লাগানো হরেক রকমের ফুলের গাছ। বাসার ষষ্ঠ তলার ছাদে রয়েছে, দেশি বেগুন, বরবটি, শিম, লেবু, মাল্টা, ডালিম, আম, জাম, টমেটো, বরই, পেয়ারা, সফেদা, কাঁচা মরিচ, কামরাঙা, আমড়া, পেঁপে, ঝিঙা, শশা, ড্রাগন, আখ, জলপাই, অড়বড়ই, বড়ই, আপেল, আঙুর, বেল, খেজুর, বিলিম্বি, কাঁঠাল, কদবেল, তেঁতুল, মিষ্টি লাউ ও ভেষজ নানা রকম গাছ। রয়েছে বেশ কিছু বিদেশি সবজি, ফল ও ফুলগাছও।
আলেয়া আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার ছোটবেলা থেকেই শখ ছিল বাগান করার। এখন রাজনীতি ও সাংসারিক কাজে পুরোপুরিভাবে ব্যস্ত। তবে রাজনীতি আর পরিবারের শত ব্যস্ততাও ভোলাতে পারেনি ছোট বেলার সেই শখের কথা। তাই তো ব্যস্ততার মধ্যেও ছাদ এবং বাড়ির আঙিনায় তিন শতাধিক রকমের ফল, ফুল আর ওষুষি গাছ লাগিয়ে বাড়িটিতে সবুজের সমারোহ ঘটিয়েছেন।
আলেয়া আক্তার জানান, ২০১০ সালে ছাদে বাগান করা শুরু করেছেন। এখন বাগানটিতে তিন শতাধিক গাছ রয়েছে। গাছগুলো থেকে এখন প্রতিদিনই ফল ও শাক-সবজি এনে পরিবারের সবাই খেতে পারেন। বাসায় অতিথি এলে অনেকেই নিজের হাতে বিষমুক্ত ফল ও সবজি নিয়ে যান।
তিনি বলেন, বাগানটি পরিচর্চায় পরিবারের অন্য সদস্যরাও অংশ নেন। যেহেতু বাগানে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না, তাই জৈব সার তৈরিতে বিভিন্ন উপকরণ বাইরে থেকে আনতে পরিবারের সদস্যরা আমাকে সহযোগিতা করেন।
এ ছাড়া ছাদের ছোট্ট ঘরে পালন করা মুরগিগগুলো ডিম দেয় এবং সেখানে বাচ্চা তোলা হয়।
আলেয়া আক্তার বলেন, ভবিষ্যতে ছাদ ছাড়াও আমার আরেকটি বাগান করার ইচ্ছে রয়েছে। নিজের বাড়িতে জায়গা থাকলেই সবাই যেন বেশি বেশি গাছ লাগান, সেজন্য আমার আশপাশের সবাইকে অনুরোধ জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
এসআই