ঢাকা: ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া শিল্পীদের বর্ণাঢ্য ফ্যাশন শো ও একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক আর্ট ও চলচ্চিত্র উৎসব রিইনকার্নেট-৩।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় উৎসবের সমাপনী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউউ) রাষ্ট্রদূত ও ডেলিগেশন প্রধান চার্লস্ হোয়াইটলে, ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রদীপ্তা রায় এবং নেপালের মানবাধিকারকর্মী শেরচান নবিন সিমরান।
অনুষ্ঠানে তারা বলেন, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি যে বৈষম্য ও নিপীড়ন হয় তা তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম হলো শিল্প, সাহিত্য ও চলচ্চিত্র। এই মাধ্যমই তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে জোরালো আওয়াজ তোলা সম্ভব।
তাই আরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ, শিল্প ও সাহিত্য রচনার প্রতি জোর দেন তারা। এই রকম আয়োজনের জন্য ‘বন্ধু’র প্রসংশা করে তারা বলেন, এ ধরনের উৎসব আয়োজন ও সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।
টেইসই উন্নয়ন অভীষ্টের অন্যতম শর্ত- কেউ পিছিয়ে থাকবে না। এ স্লোগানকে সামনে দেশকে এগিয়ে নিতে পিছুপা হবে না ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠী। শিক্ষা, শিল্প, কর্মে যোগ্য হয়ে এগিয়ে যাবে তারা। তবে, তার জন্য চাই সামাজিক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। এই বিষয়গুলোই ফ্যাশন শোর মাধ্যমে উপস্থান করেছেন মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ।
এর আগে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বন্ধু সোশ্যাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ উৎসব উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো শৈল্পিক মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন সংগ্রাম তুলে ধরে সামাজিক সচেতনতা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করা। পাশাপাশি এই জনগোষ্ঠীকে সৃজনশীল চর্চায় সম্পৃক্ত রাখা এবং মত প্রকাশের জন্য একটি নিরাপদ অবস্থান তৈরি করা।
এবারের উৎসবে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ৬টি দেশের ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে নির্মিত ২৫টি চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি ২৫টি শিল্পকর্মের একটি তিন দিনের চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এর সঙ্গে প্রতিদিন ছিলোট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া শিল্পীদের অংশগ্রহণে নানা আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
জেডএ/এমএমজেড