পিকাসোর ২৭১টি অপ্রকাশিত শিল্পকর্মের সন্ধান দিয়েছেন এক অবসরপ্রাপ্ত ইলেকট্রিশিয়ান। দক্ষিণ ফ্রান্সের ওই ইলেকট্রিশিয়ান পিকাসোর বাড়িতে বৈদ্যুতিক কাজ করে দিতেন।
পিয়েরি লা গুয়েনেক নামের ৭১ বছর বয়সের ওই ইলেকট্রিশিয়ান বলেছেন, শিল্পকর্মগুলো তিনি পিকাসোর কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন।
তবে পিকাসোর ছেলে পিয়েরির এই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তার বাবা একজন মানুষকে কখনই এতগুলো শিল্পকর্ম উপহার দিতে পারেন না।
শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে আছে লিথোগ্রাফস, ত্রিমাত্রিক চিত্রকর্ম এবং জলরংয়ের চিত্র। এছাড়া আছে তার প্রথম স্ত্রী ওলগার পোর্ট্রেট ও নোটবুক।
কিন্তু রাজ্য প্রশাসক পিয়েরির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাদের অভিযোগ, তিনি অবৈধভাবে এই শিল্পকর্মগুলোর মালিক হয়েছেন।
ফ্রান্সের ‘লিবারেশন’ নামের একটি সংবাদপত্র দাবি করেছে, পিয়েরির কাছে জলরঙের যে চিত্রটি আছে তা পিকাসোর ব্লু পিরিয়ডের হারিয়ে যাওয়া একটি শিল্পকর্ম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার কাছে কিউবিজমের যে ৯টি চিত্রকর্ম আছে সেগুলোর সর্বনিম্ন মূল্য ৪০ মিলিয়ন ইউরো।
ওই ইলেকট্রিশিয়ান ফ্রান্সে পিকাসোর বেশ কয়েকটি বাড়িতে সিঁধেল চোর ধরার সংকেতের যন্ত্র স্থাপনের কাজ করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে পিকাসোর মৃত্যুর আগে তিন বছর ধরে এই কাজ করেছিলেন।
গত সেপ্টেম্বরে তিনি পিকাসোর ছেলে কদির কাছে গিয়েছিলেন চিত্রকর্মগুলো যে পিকাসোর তা প্রমাণ করার জন্য। কিন্তু তার কাছে চিত্রকর্মগুলো পাওয়ার ব্যাখ্যা শুনে কদি তাকে বিদায় করে দেন।
কদি বলেন, তার বাবা একজন মানুষকে এতগুলো শিল্পকর্ম কখনই উপহার দিতে পারেন না। এতগুলো জিনিস তিনি কাউকে দেবেন আর তা অজানা রাখবেন তা হতে পারে না। কারণ এটা তার জীবনেরই একটি অংশ।
একসময় শিল্পকর্মগুলো শনাক্ত হওয়ার পর ফ্রান্সের বিশেষজ্ঞ শিল্প পুলিশ পিয়েরির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেগুলো জব্দ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ৬০ মিলিয়ন ইউরোর চেয়ে বেশি মূল্যের এই শিল্পকর্মগুলোর মালিকানা নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল।
নিউ ইয়র্ক মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্ট থেকে বলা হয়, পিকাসো তার জীবদ্দশায় ২০ হাজারের বেশি ছবি আঁকেন। এর মধ্যে কয়েক শ ছবি হারিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময় ২৩৪০, নভেম্বর ২৯, ২০১০