বর্তমান রুশ সাহিত্যের অন্যতম প্রভাবশালী নারী কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক বেলা আখমাদুলিনা মারা গেছেন। তিনি প্রয়াত হয়েছেন ২৯ নভেম্বর ২০১০ সোমবার রাতে, মস্কোতে।
আখমাদুলিনা জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৭ সালের ১০ এপ্রিল। তার বাবা ছিলেন তাতার এবং মা রুশ বংশোদ্ভূত ইতালিয়ান। তার লেখালেখির শুরু স্কুলজীবনে এক রুশ সংবাদপত্রে কাজ করতে গিয়ে। প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে।
স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তিনি ভর্তি হন ম্যাক্সিম গোর্কি লিটারেচার ইন্সটিটিউটে। এখানে পড়াকালীন অবস্থায় তিনি প্রথমবারের মতো বিয়ে করেন বিখ্যাত কবি ইয়েভগেনি ইয়েভতুশেঙ্কোকে ১৯৫৪ সালে। ‘প্রথমবারের মতো’ শব্দ দুটি ব্যবহার করার কারণ, এই রূপসী ও আকর্ষণীয় নারী এরপর বিয়ে করেন আরও তিন বার।
দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন ১৯৬০ সালে ঔপন্যাসিক ইউরি নাজিবিনকে। ১৯৭১ সালে বিয়ে করেন চলচ্চিত্র পরিচালক এলদার কুলিয়েভকে। এ সংসারেই জন্ম নেয় তার একমাত্র মেয়ে এলিজাবেতা কুলিয়েভা। তিনিও একজন কবি। বেলা শেষবারের মতো বিয়ে করেন ১৯৭৪ সালে চিত্রশিল্পী বরিস মেসেরারকে।
১৯৬০ সালে ম্যাক্সিম গোর্কি লিটারেচার ইন্সটিটিউট থেকে লাভ করেন গ্রাজুয়েট ডিগ্রি। তার প্রথম কবিতার বই ‘দ্য স্ট্রিং’ প্রকাশিত হয় ১৯৬২ সালে। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত কবিতার বইয়ের সংখ্যা ২০টি। উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে-- Music lessons (1970), Poems (1975), Candle (1977), Dreams of Georgia (1977), The Mystery (1983), Coastline (1991) প্রভৃতি। লেখালেখি ছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রের জন্য স্ক্রিপ্ট লিখেছেন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৪ সালে পাওয়া ‘State Prize of the Russian Federation’ । রাশিয়ার এ উল্লেখযোগ্য পুরস্কারটি তিনি গ্রহণ করেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছ থেকে।
রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেভেদব এক শোকবার্তায় বলেছেন, বেলা আখমাদুলিনার মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি আর তার কবিতা রুশ চিরায়ত সাহিত্যেরই অংশ।
সূত্র : দ্য মস্কো টাইমস ও উইকিপিডিয়া
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৮০০, নভেম্বর ৩০, ২০১০