ঢাকা: মায়ের বয়স ১০০ ছুঁই ছুঁই। মেয়েরও পেরিয়েছে প্রায় ৮০।
স্পেন দূতাবাসের অ্যাম্বেসেডর লুইস তাভেদা এর হাত থেকে প্রথম বিজয়ী হিসেবে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার নেয়ার পর আশীষ দাস বাংলানিউজের সাথে তুলে ধরেন ছবির পিছনের গল্প।
আশিষ দাস বলেন, ছবি তোলাই আমার নেশা, পেশা। ছবি তুলতে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় ঘুরে বেড়িয়েছি। একবার ছবি তুলতে যাই হবিগঞ্জে।
সেখানকার একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই। হঠাৎ চোখ পড়ে দুই প্রবীণের ওপর। হাসছেন, কথা বলছেন। দুইজন দুই জনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। অসাধারণ বন্ধুত্ব। তাদের সাথে পরিচিত হলাম। জানলাম তারা মা, মেয়ে।
অথচ আমাদের নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগের মধ্যেই এখন তেমন বন্ধুত্ব দেখা যায় না। এই সম্পর্কটি আমাকে বেশ অনুপ্রাণিত করে। সেই সময়কার একটি স্মৃতি হিসেবে তুলে রেখেছিলাম ছবিটি।
দৃক গ্যালারিতে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত চলমান এই প্রদর্শনীতে ছবিটি ফেন্ডশীপ ফরেভার নামে দেখতে পাবেন আগ্রহীরা। তাছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন কুমার বিশ্বজিৎ ও কায়সার আহমেদ।
অনুষ্ঠানে স্পেনের অ্যাম্বেসেডর বলেন, এই ধরনের প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেয়ায় আমি দৃককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তরুণদের মধ্যে অনুপ্রেরণা তৈরি না করলে তারা ভালভাবে কাজ করবে কী করে।
অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল আলম। প্রদর্শনী চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। আগ্রহী দর্শকরা দুপুর ৩টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিজয়ীদের ছবি ছাড়াও আরো অসংখ্য ছবি দেখতে পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৪