ক্রিপ্টোগ্রাফি, গোপন চাবি, সিম্বল, কোড এবং কন্সপিরেসি থিওরির জ্ঞান কাজে লাগিয়ে, সব ধরনের গুপ্ত রহস্য ভেদ করে চব্বিশ ঘণ্টার মাঝে তাকে সমস্যার সমাধান করতে দেখা যায়। তার বইগুলো এযাবত ৫৬টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
ব্রাউনের এসব উপন্যাসে প্রধান চরিত্র, ল্যাংডন। পাশাপাশি এসবে মটিফ হিসেবে এমনভাবে ঐতিহাসিক বিষয়বস্তু এবং খ্রিস্টানত্ব অন্তর্ভূক্ত হতে দেখা যায়, যা বিতর্ক উসকে দেয়। তার থ্রিলার নোভেল দ্য ভিঞ্চি কোড এর শুরুতেই প্যারিস ল্যুভর মিউজিয়ামে এক লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এই খুনের সঙ্গে জড়িয়ে যায় প্রধান চরিত্র ‘সিম্বলজিস্ট’ প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডনের নাম। রহস্য ভেদ করতে আরও এগিয়ে আসেন ক্রিপ্টোলজিস্ট সফি নাজে। ঘটনার অব্যবহত পরই এ দু’জন, তাদের প্রতীক ও ক্রিপ্টোগ্রফির জ্ঞান ব্যবহার করে, পরস্পরবিরোধী গুপ্তসংঘ প্রায়োরি অব সিয়ন ও অউপাস ডেই-এর অজানা সব লোমহর্ষক কর্মকাণ্ড আবিষ্কার করতে শুরু করেন। এক পর্যাযে তারা জানতে পারেন, সহচর মেরি মাগদালিনের গর্ভে যিশু খ্রিস্টের সন্তান জন্ম এবং তার বংশধরদের টিকে থাকার মতো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে গোপন এই বিবাদের সূত্রপাত...
দ্য ভিঞ্চি কোড
মূল: ড্যান ব্রাউন
ভাষান্তর: সোহরাব সুমন
অধ্যায় ৪
আরও একটি অস্বাভাবিক প্রশ্ন। ল্যাংডন মাথা ঝাঁকান। “না। কখনই নয়। ” ফ্যাশ তার মাথা কাত করেন, যেন কথাগুলো মনে মনে টুকে নিচ্ছেন। কোনো কিছু না বলে, সে চুপচাপ সামনে ক্রোমের দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে।
তারা উপরে উঠতে থাকলে, ল্যাংডন তাদের ঘিরে থাকা চার দেয়ালের বদলে অন্য কিছুর প্রতি মনোযোগ দিতে চেষ্টা করেন। চকচকে মসৃণ এলিভেটর দরজার উপর, সে ক্যাপটেনের টাই ক্লিপের প্রতিবিম্ব দেখতে পায়- তেরো টুকরো অনেক্স বসানো একটি রূপোর ক্রসিফিক্স। * (*যিশুখ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধ মুর্তি সম্বলিত ক্রশের মডেল) ল্যাংডন এটা দেখে অনেকটা অবাক হন। প্রতীকটি ক্রক্স জিমাটা নামে পরিচিত- তেরটি রত্ন বহন করা একটি ক্রুশ- যিশু খ্রিস্ট এবং তার তেরোজন শিষ্যকে প্রতীকায়িত করা একটি ধারকলিপি। যে কারণেই হোক না কেনো ল্যাংডন আশা করেননি ফ্রান্স পুলিশের একজন ক্যাপ্টেন এতোটা খোলামেলাভাবে তার ধর্ম প্রচার করে বেড়াবেন। তাছাড়া, এটা ফ্রান্স; জন্মগত অধিকারের মতো এখানে খ্রিস্টানত্ব কোনো ধর্ম নয়।
“এটি একটি ক্রক্স জিমাটা” ফ্যাশ হঠাৎ বলে ওঠেন।
বিস্ময়ে, ল্যাংডন প্রতিবিম্বে নিজেকে খুঁজতে ফ্যাশের চোখের দিকে তাকান।
এলিভেটরটি ঝাঁকুনি দিয়ে থামে, এবং দরজা খুলে যায়।
ল্যাংডন বিখ্যাত উঁচু ছাদ ওয়ালা ল্যুভর গ্যালারি সমূহের বিস্তীর্ণ-খোলা জায়গা দেখতে ব্যগ্র হয়ে, দ্রুত করিডোরের দিকে পা বাড়ান। যে জগতের দিকে তিনি হেঁটে যান, বাস্তবে, তিনি যা অনুমান করেছেন তার কিছুই সেরকম নয়।
অবাক হয়ে, ল্যাংডন অল্প সময়ের জন্য থামেন।
ফ্যাশ সেদিকে তাকায়। “আমি বুঝতে পারছি, মিস্টার ল্যাংডন, খোলা থাকা ছাড়া আপনি কখনই ল্যুভর দেখেননি?”
আমার তা মনে হচ্ছে না, দাঁড়াবার ধরন ঠিক করবার চেষ্টা করে, ল্যাংডন ভাবেন।
সচরাচর নিখুঁতভাবে আলোকিত, ল্যুভরের সব গ্যালারি আজ রাতে চমকে ওঠার মতো অন্ধকার। প্রথানুগ স্থির-সাদা আলো ওপর থেকে নিচের দিকে বয়ে আসার বদলে, প্রচ্ছন্ন একটি লালচে আভা ওপর থেকে কাঠের আচ্ছাদনের ওপর প্রবাহিত হচ্ছে বলে মনে হয়- লাল আলোর সবিরাম ছোপগুলো টাইলসের মেঝের ওপর ছলকে পড়ছে।
অন্ধকারাচ্ছন্ন করিডোরের দিকে তাকাতেই, ল্যাংডন উপলব্ধি করেন এসব দৃশ্য তার আগে থেকেই ভেবে রাখা দরকার ছিল। কার্যত রাতের বেলায় গুরুত্বপূর্ণ সব গ্যালারিতে সার্ভিস লাইটের লাল আলো ব্যবহার করা হয়- কৌশলে বসানো, স্বল্প-মাত্রার, সীমাবদ্ধ এসব আলো এখানকার কর্মী সদস্যদের করিডোরের দিকে নজর রাখতে সহায়তা করে এবং তীব্র আলোর প্রভাবে অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া ঠেকাতে চিত্রকর্মগুলোকে তুলনামূলকভাবে অন্ধকারে রাখে। আজ রাতে, জাদুঘরটি অনকেটাই নির্মম চেহারা ধারণ করেছে। সর্বত্রই দীর্ঘ ছায়ার অস্বভাবিক বাড়াবাড়ি আর স্বাভাবিক সুউচ্চ ধনুকাকৃতির ছাদের তলগুলোকে নিচু, তমিস্র শূন্য বলে মনে হচ্ছে।
“এই পথে”, আচমকা ডানে বাঁক নিয়ে এক সারি পরস্পর সংযুক্ত গ্যালারির মাঝ দিয়ে হাঁটতে শুরু করে, ফ্যাশ বলেন।
ল্যাংডন তাকে অনুসরণ করে, তার দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে অন্ধকারের সঙ্গে মানিয়ে যায়। চারদিকে সর্বত্র, বড় বড় তৈলচিত্রগুলো তার কাছে বিশাল কোন ডার্করুমে ফটো ডেভেলপের মতো মূর্ত হয়ে ওঠে... তিনি কামরা সমূহের মাঝ দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় তাদের চোখগুলো তাকে অনুসরণ করতে থাকে। তিনি জাদুঘরের বাতাসে পরিচিত কটু স্বাদ পান- একটি শুষ্ক, আয়নহীন নির্যাস যা কার্বনের ক্ষীণ এক ইঙ্গিত বহন করছে- দর্শনার্থীদের নিঃশাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসা ক্ষতিকর কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রতিরোধের জন্য ঘড়ি ধরে চলা শিল্প পণ্য, আদ্রতা অপসারণকারী কয়লা-ফিল্টার।
সবগুলো দেয়ালের ওপরের দিকে বসানো, দৃশ্যমান সিকিউরিটি ক্যামেরাগুলো দর্শনার্থীদের স্পষ্ট একটি বার্তা দেয়: আমরা আপনাকে দেখছি। কোনো কিছু ধরবেন না।
“এর কোনোটা কি আসল?” ক্যামেরাগুলোর দিকে দেখিয়ে, ল্যাংডন জানতে চান।
ফ্যাশ মাথা ঝাঁকান। “অবশ্যই না। ”
ল্যাংডন অবাক হন না। এতো বড় জাদুঘরে ভিডিও নজরদারি অর্থের-অপব্যবহার আর অনর্থক। একর জুড়ে বিস্তৃত এসব গ্যালারির ওপর নজরদারি করতে গেলে, কেবল এর সংযোগ লাইনগুলো দেখভালের জন্য, ল্যুভরের কয়েকশ টেকনিশিয়ান লাগবে। বর্তমানে বেশিরভাগ বড় আকারের জাদুঘরগুলো “কনটেইনমেন্ট সিকিউরিটি বা নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা” ব্যবহার করছে। চোরদের বাইরে রাখার কথা ভুলে যান। তাদের ভেতরেই রাখুন। কর্মঘণ্টার পর এই কনটেইনমেন্ট ব্যবস্থা সচল হয়, এবং যদি কোনো অনাহূত একটি শিল্পকর্ম সরিয়ে নেয়, সেই গ্যালারির চারপাশের বেরোবার সব স্বয়ংক্রিয় পথ আপনি বন্ধ হয়ে যাবে, এবং পুলিশ আসবার আগেই চোর নিজেকে গরাদের ভেতরে আবিষ্কার করবে।
উপরের মার্বেল করিডোরে কতগুলো কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হয়। মনে হচ্ছিল শোরগোলটা বুঝি সেই ডান পাশের সামনের দিককার লাগোয়া বড় একটি নিভৃতকক্ষ থেকে ভেসে আসছে। হলওয়ে জুড়ে উজ্জ্বল একটি আলো ছড়িয়ে রয়েছে।
“কিউরেটরের অফিস”, ক্যাপটেন বলেন।
সে আর ফ্যাশ অ্যালকৌভটির দিকে এগিয়ে যেতেই, ল্যাংডন খাটো একটি করিডোরের মাঝ দিয়ে, সোনিয়ার বিলাসবহুল পড়ার ঘরে উঁকি দেন- ওয়ার্ম উড* (বাইবেলে উল্লেখিত তারা), অল্ড মাস্টার পেইন্টিংস* (প্রায় ১৮শ সালের আগে ইউরোপের যে কোনো দক্ষ চিত্রকরের আঁকা), আর বিশাল একটি অ্যান্টিক ডেস্ক যার ওপর আস্ত বর্মের দুই ফুট লম্বা একটি নাইটের মডেল রাখা। একদল পুলিশ সদস্য কক্ষটিতে ব্যস্তভাবে পায়চারি করছে, কেউ ফোনে কথা বলছে, কেউ বা খাতায় কিছু একটা টুকে নিচ্ছে। তাদের একজন সোনিয়ার ডেস্কের দিকে তাকিয়ে, একটি ল্যাপটপে টাইপ করছে। দেখে বোঝা যায়, রাতের জন্য সোনিয়ার ব্যক্তিগত অফিস কক্ষটি ডিসিপিজে’র সাময়িক কমান্ড পোস্টে পরিণত হয়েছে।
“মসিয়েঁ”, ফ্যাশ ডেকে ওঠেন, এবং লোকগুলো ঘুরে দাঁড়ায়। “নো ন্যু দেহোজেঁ পা স্যু উক্কা প্রিতেক্স। ওন্তনদ্যু?- কোনো অবস্থাতেই আমাদের বিরক্ত করা চলবে না। শুনছেন?”
অফিসের ভেতরের সবাই মাথা নাড়িয়ে তাদের বুঝবার কথা জানায়।
ল্যাংডন হোটেল কক্ষের দরজাগুলোর ফলকের ওপর লেখা নো পা দেহোজেঁ- বিরক্ত করবেন না, কথাটির সঙ্গে পরিচিত থাকায় ক্যাপটেনের আদেশের সারমর্ম বুঝতে পারেন। ল্যাংডন আর ফ্যাশকে কোনো অবস্থাতেই বিরক্ত করা চলবে না।
এজেন্টদের ছোট্ট জটলা পেছনে ফেলে, ফ্যাশ ল্যাংডনকে পথ দেখিয়ে অন্ধকার করিডোরের আরও সামনে এগিয়ে যান। ত্রিশগজ সামনে ল্যুভরের সবচেয়ে জনপ্রিয় অংশের প্রবেশ পথ- লা ঘন্দ গ্যালোরি- দেখতে অসীম একটি করিডোরের মতো বিস্তৃত যেখানে ল্যুভরের সবচেয়ে মূল্যবান ইতালিয়ান মহৎ শিল্পকর্মগুলো রাখা আছে।
ল্যাংডন এরই মধ্যে বুঝতে পারেন যে এই সেই জায়গা যেখানে সোনিয়ার দেহ পড়ে আছে; গ্রান্ড গ্যালারির নকশা-কাটা বিখ্যাত কাঠের পাটাতন সন্দেহাতীতভাবে ছিল পোলারয়েড ছাওয়া।
তারা কাছাকাছি আসতেই, ল্যাংডন দেখতে পান প্রবেশ পথটি প্রকাণ্ড এক ইস্পাতের ঝাঁঝরি দিয়ে আটকানো যা দেখতে অনেকটা মধ্যযুগীয় প্রসাদ সমূহে লুটেরা সেনাদের ঠেকাতে যে ধরনের জিনিস ব্যবহার হতো এর মতো।
“কনটেইনমেন্ট সিকিউরিটি”, গেটটির কাছাকাছি আসতেই, ফ্যাশ বলেন।
এমনকি অন্ধকারের মাঝেও, সেই প্রতিবন্ধকটিকে দেখে মনে হয় এর সাহায্যে আস্ত একটি ট্যাঙ্ক পর্যন্ত ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। বাইরে দাঁড়িয়ে, ল্যাংডন গরাদের মাঝ দিয়ে উঁকি মেরে গ্রান্ড গ্যালারির মৃদু আলোকিত ক্যানভাসগুলোর দিকে তাকান।
“আপনি আগে যান, মিস্টার ল্যাংডন”, ফ্যাশ বলেন।
ল্যাংডন পেছনে তাকান। আগে যাবো, কোথায়?
ফ্যাশ গরাদের মেঝের দিকে এগিয়ে যান।
ল্যাংডন নিচের দিকে তাকান। অন্ধকারে, সে বুঝে উঠতে পারে না। প্রতিবন্ধকটি প্রায় দুফুটের মতো উঠিয়ে, তলদেশে বেমানান একটি খালি জায়গা রাখা হয়েছে।
“জায়গাটি এখনও পর্যন্ত ল্যুভর সিকিরিটিদের জন্য নিষিদ্ধ”, ফ্যাশ বলেন। “আমার পুলিশ টেকনিক এ সায়েন্টিফিক টিম সবে মাত্র তাদের তদন্ত কাজ সম্পন্ন করল। ” সে খোলা জায়গাটির দিকে ইশারা করে। “দয়া করে নিচ দিয়ে চলে আসুন। ”
ল্যাংডন তার পায়ের কাছে হামাগুড়ি দিয়ে ভেতরে যাওয়ার সরু জায়গার দিকে তাকান এবং তারপর ওপরের বিশাল লোহার গেটের দিকে চেয়ে দেখেন। সে মজা করছে। ঠিক? ব্যারিকেডটি দেখতে অবাঞ্ছিতদের দুমড়ে-মুচড়ে দিতে প্রস্তুত একটি গিলোটিনের মতো মনে হয়।
ফ্যাশ বিড়বিড় করে ফরাসিতে কিছু একটা বলেন আর তার ঘড়ির দিকে তাকান। তারপর হাঁটু গেড়ে বসেন এবং টলতে টলতে তার স্থুলাকার দেহ কাঠামোটিকে ঝাঁঝরির নিচ দিয়ে গলিয়ে দেন। অপর পাশে গিয়ে, উঠে দাঁড়ান এবং পেছন ফিরে গরাদের মাঝ দিয়ে ল্যাংডনের দিকে তাকান।
ল্যাংডন দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। হাতের তালু জোড়া পলিশ পার্কে মেঝের ওপর রেখে, পেটে ভর দিয়ে শুয়ে পড়েন এবং নিজেকে টেনে সামনে নিয়ে যান। তল দিয়ে পিছলে যাওয়ার সময়, তার হ্যারিস টুইড স্যুটের ঘাড় ঝাঁঝরির তলায় আটকে যায়, আর লোহায় মাথার পেছনে চোট লাগে।
খুব ধীরে, রবার্ট, সে ভাবে, এভাবে হাতড়ে তারপর অবশেষে তিনি নিজেকে টেনে ভেতরে সেঁধিয়ে দেন। উঠে দাঁড়াবার সময় ল্যাংডনের মনে সন্দেহ হতে থাকে রাতটা বুঝি খুব দীর্ঘ হতে যাচ্ছে।
চলবে…
সোহরাব সুমন সমকালীন একজন কবি। জন্ম বেড়ে ওঠা এবং পড়ালেখা ঢাকায়। তার মননশীলতা তার সৃষ্টিকর্মেই ভাস্বর। কবির নিরবচ্ছিন্ন সাহিত্য প্রচেষ্টা এবং সৃজনশীলতা তার আশপাশের পরিচিত বিশ্ব তার কাব্যিক রূপ-রস-গন্ধ সমেত পাঠকের চেতনায় জীবন্ত হয়ে উঠতে বাধ্য। একনিষ্ঠ এই কবি দীর্ঘদিন যাবৎ কবিতা, ছোটগল্প, সৃষ্টিশীল ফিচার লেখার পাশাপাশি অনুবাদ করে চলেছেন। ‘শুধু তুমি কবিতা’, ‘কবিতার বিস্বাদ প্রহর’ এবং ‘ভালোবাসি তোমার ছোঁয়া’ তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘আরববিশ্বের গল্প,’ ‘মিশরের শ্রেষ্ঠ গল্প,’ ‘ইরাকের শ্রেষ্ঠ গল্প,’ ‘ইতালির শ্রেষ্ঠ গল্প’ এবং ‘যুদ্ধের মেয়ে’ তার এযাবৎ প্রকাশিত অনুবাদ গল্পসংকলন। ‘স্পেনের শ্রেষ্ঠ গল্প’ তার সম্পাদিত গল্পসংঙ্কলন। ‘দ্য ট্রাভেলস অব মার্কো পলো’ তার অনূদিত অভিযাত্রিক ভ্রমণকাহিনী। বিখ্যাত মার্কিন লেখক এবং ইতিহাসবিদ হ্যরল্ড ল্যাম্ব রচিত সুলেমান দ্য মেগনেফিসেন্ট সুলতান অব দ্য ইস্ট তার অনূদিত ইতিহাস গ্রন্থ। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে বিখ্যাত লেখক এনিড ব্লাইটন এর ‘শ্যাডো দ্য শিপ ডগ’। তাছাড়া তার অনূদিত একই লেখকের ‘রহস্য দ্বীপ’ কিশোর উপন্যাসটিসহ বিশ্বসাহিত্যের বেশকিছু বিখ্যাত বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। সঙ্গত কারণেই তার কবিতা, অন্যান্য লেখা এবং অনুবাদকর্ম পাঠকমহলে বহুল সমাদৃত।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
এসএনএস