মঙ্গলবার (৮ মে) সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘পূর্বাচলে রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামের এ আয়োজন।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কবিগুরুর বিভিন্ন সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক শিক্ষাবিদ ড. হায়াৎ মামুদ।
দ্বিতীয় পর্বে ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ববঙ্গে কবিগুরু অবস্থানকালে তার রচিত সৃষ্টিকর্মের কিয়দংশ নিয়ে সাজানো হয় এ পর্বটি।
সুরের ধারার শিল্পীদের সম্মেলক কণ্ঠে ‘আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভুবন ভরা’ গানটির পরিবেশনার মধ্য দিয়েই সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা ঘটে। এরপর সম্মেলক কণ্ঠে তারা আরও পরিবেশন করে ‘সব নিতে চাই’ ও ‘অন্তর মম বিকশিত কর’।
‘হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে’, ‘আমি চিনি গো চিনি’ ও ‘বিশ্ববীণা রবে বিশ্বজন মোহিছে’ এ তিনটি গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা। ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এককভাবে পাঠ করেন ‘নববর্ষ’ এবং তামান্না তিথির সঙ্গে যৌথভাবে আবৃত্তি করেন ‘দুই পাখী’ কবিতাটি।
একক কণ্ঠে স্বাতী বিশ্বাস গেয়ে শোনান ‘শুধু যাওয়া আসা শুধু স্রোতে ভাসা’, ‘পূর্বাচলের পানে তাকাই’, নীলোৎপল সাধ্য গেয়ে শোনান ‘ঝরো ঝরো বরিষে বারিধারা’। আজিজুর রহমান তুহিন পরিবেশন করেন ‘খাঁচার পাখী ছিল সোনার খাঁচাটিতে’, মহাদেব ঘোষের কণ্ঠে গীত হয় ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা’।
সালমা আকবর পরিবেশন করেন ‘হৃদয়ের একূল ওকূল’, আদ্রিজা গেয়ে শোনান ‘ওলো সই ওলো সই’, শিউলী আশীষ সরকারের কণ্ঠে গীত হয় ‘যদি বারণ করো তবে’, জলি রহমান পরিবেশন করেন ‘আমি কেবলই স্বপন’, বুলবুল ইসলাম গেয়ে শোনান ‘আজি ঝড়ের রাতে’ ও ছায়া কর্মকারের পরিবেশন করেন ‘ভালবেসে সখী নিভৃতে যতনে’।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৫ ঘণ্টা; মে ০৯, ২০১৮
এইচএমএস/এসআরএস