ঢাকা, বুধবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিল্প-সাহিত্য

হুমায়ূন মেলায় সম্মাননা পেলেন নারী নেত্রী রেনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০৯, নভেম্বর ১৩, ২০২০
হুমায়ূন মেলায় সম্মাননা পেলেন নারী নেত্রী রেনী .

রাজশাহী: কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাণের কারিগর হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার (১৩ নভেম্বর)। আর এ বিশেষ দিনকে ঘিরে বরাবরই দিনব্যাপী হুমায়ূন মেলার আয়োজন করে চ্যানেল আই।

করোনার কারণে বিস্তৃত পরিসরে হুমায়ূন মেলা না হলেও ভার্চ্যুয়াল আড্ডা আয়োজনে ‘ঐক্য.কম.বিডি চ্যানেল আই হুমায়ূন মেলা ২০২০’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উদ্যোক্তাদের অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখায় মেলায় সম্মাননা পেয়েছেন ঐক্য ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট রাজশাহীর মেয়র পত্নী শাহীন আকতার রেনী। কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড চ্যানেল আইয়ের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু নারী নেত্রী শাহীন আকতার রেনীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

অপু মাহফুজের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম ও রেজানুর রহমান।

হুমায়ূন মেলা ২০২০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন তার বক্তব্যে হুমায়ূন আহমেদকে পাঠের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন।

হুমায়ূনের জন্য সবার গৌরব বোধ করা উচিত জানিয়ে দেশের জনপ্রিয় এ লেখক বলেন, বিপুল পাঠক তৈরির কাজটি হুমায়ূন করেছেন, যা বাংলা সাহিত্যে আর কেউ করতে পারেননি। আমরা তাকে নিয়ে গৌরব বোধ করি।

হুমায়ূন সৃষ্ট জনপ্রিয় বইগুলো ছাড়াও কম আলোচিত বই পাঠেরও অনুরোধ জানান ইমদাদুল হক মিলন। তিনি বলেন, হুমায়ূনের তিনটি চরিত্র মানুষের মনে গেঁথে আছে। বিশেষত তরুণদের মনে। তিনটি চরিত্র হলো- মিসির আলী, হিমু ও রূপা। কিন্তু আমি বলবো, হুমায়ূনকে তিনটি চরিত্র দিয়ে বিচার করলে হবে না। বরং এ তিনটি চরিত্রের কথা বললে হুমায়ূন আহমেদের মহত্ত্বের অনেকখানি উদ্ভাসিত হয় না। তার মধ্যাহ্ন, নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, ফেরা বা মাতাল হাওয়ার মতো অনেকগুলো উপন্যাস বা গল্পগুলোর কথা আমি বলতে পারি- আমি সবার কাছে অনুরোধ করবো, যারা শুধু মিসির আলী, হিমু আর রূপাকে জানেন তারা দয়া করে হুমায়ূন আহমেদের অন্য লেখাগুলোও গভীর মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

অনুষ্ঠানে নারী নেত্রী শাহীন আকতার রেনী বলেন, নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে উপস্থিত নেই, কিন্তু আমরা জানি তিনি সবার অন্তরে আছেন। বিশেষ করে পুরো বাঙালি জাতির অন্তরে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন এবং বিশ্বব্যাপী তাকে এক নামে সবাই চেনেন। আজকে এ মেলায় আমি শ্রদ্ধা জানাই হুমায়ূন আহমেদের প্রতি এবং সমবেদনা জানাই তার পরিবারের প্রতি।

রেনী বলেন, একজন হুমায়ূন চলে গেছেন, কিন্তু অনেকগুলো হুমায়ূন রেখে গেছেন তিনি। প্রতিটি বই মেলায় তরুণ প্রজন্ম হুমায়ূন আহমেদের বই কিনতে ভিড় জমায়। এটি হুমায়ূন আহমেদের বড় একটি পাওয়া।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পীরা হুমায়ূন স্মরণে আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।