ঢাকা: ছুটির দিনের সন্ধ্যা। একেতো কঠোর লকডাউনে ঘরবন্দি, তার উপর সকালের রেশ কাটিয়ে বিকেল থেকে আবারও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি।
শ্রাবণের সেই বিষণ্ণতাতে দূরে ঠেলে একরাশ ভালো লাগার অনুভূতি নিয়ে হাজির হলো শাস্ত্রীয় সংগীতের আয়োজন ‘মালহার সন্ধা’ বা বৃষ্টিকে আমন্ত্রণ জানানোর আয়োজন।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় ভার্চ্যুয়ালি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার (আইজিসিসি)। আর এতে অংশ নিয়ে মনোমুগ্ধকর সব পরিবেশনা নিবেদন করেন ভারত ও বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পীরা। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হয় আইজিসিসির ফেসবুক পেজে।
আয়োজনের শুরুতেই ভারতীয় বিখ্যাত সরোদ বাদক রাজরূপা চৌধুরী সরোদে সুরেলা নিবেদন পরিবেশন করেন। এসময় তিনি রাগ 'মিয়াঁ কি মালহার' এবং রাগ 'মিরাবাই কি মালহারে'র ছোট্ট একটি অংশে সরোদে পরিবেশন করেন।
বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় একদিকে সরোদের সুর পরিবেশকে যেমন আরও মোহনীয় করে তোলে, তেমনি সেই মোহে আরও রঙ ছড়ায় বাংলাদেশের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় কণ্ঠশিল্পী পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর সুরেলা রাগ 'মেঘ মাল্লার'।
বৃষ্টিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এরপরই বাঁশিতে সুর তোলেন বিশিষ্ট ভারতীয় বংশীবাদ কিরণ কুমার শর্মা। এসময় তিনিও বাঁশিতে সুর তোলেন রাগ 'মিয়াঁ কি মালহার' থেকে।
যন্ত্রসংগীতের আয়োজনের অনুষ্ঠানের সর্বশেষ পরিবেশনা হিসেবে মালাহার রাগের সংমিশ্রনে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এসময় তিনি গেয়ে শোনান 'কোথা যে উধাও হলো মোর প্রাণ' গানটি। সন্ধ্যার আয়োজনে সে সঙ্গীত রঙ ছড়িয়ে মনে করিয়ে দেয় শ্রাবণ এসেছে ধারায়।
ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অন্যতম সুমধুর ও সুবিখ্যাত রাগ হলো রাগ-মল্লার বা রাগ-মালহার। কথিত আছে এ রাগ গেয়ে প্রাচীন কালে বৃষ্টি নামানো হত। এটিকে বর্ষাকালের রাগ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
এইচএমএস/ওএইচ/