মুক্তমত
২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই আন্দোলন সমাজের সব
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা স্তরে ছাত্ররাজনীতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যে ইতিহাস কিছুটা গৌরবোজ্জ্বল ও কিছুটা কলুষিত। বাংলা মুলুকে শুরুর
জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে বাংলাদেশের দীর্ঘ সময়ের স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগের। ৩৬
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের মূলস্রোত এবং বিশেষ করে রাজনৈতিক চিন্তাবিদদের মধ্যে এখন দেশীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্রের চর্চা নিয়ে
একুশ শতকে বাংলাদেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান (২০২৪) একটি মাইলফলক। চাকরিক্ষেত্রে কোটা সুবিধার যৌক্তিক সংস্কার, রাজনৈতিক অধিকার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলি বা ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান বলি, এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল সর্বোচ্চ। নিম্ন মাধ্যমিক
রাজনীতি কথাটি উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চিন্তার জগতে আরো কিছু প্রাসঙ্গিক শব্দ হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে। এগুলো একটি আরেকটির
মূলত যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি-পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশের আনুক্রমিক সরকারগুলো অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, তার নাম ‘ইনভারটেড
গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সফলতা ছিল দেশের মানুষকে মনস্তাত্ত্বিক দিক দিয়ে বিকলাঙ্গ করে ফেলা। একটা সময় এমন হয়েছিল, মানুষ এটা
হিন্দু সমাজের জাতিভেদ প্রথায় ‘জাতি’ কথাটির যে অর্থ, তার সঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ‘জাতি’ কথাটির অর্থ এক রকম নয়। এই পার্থক্য
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর তরুণ সমাজ এখন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে।
জুলাই বিপ্লবের প্রধান দাবি ছিল এবং এখনো আছে যে বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। এর অর্থ হলো, বিপ্লব-পরবর্তী
দেশে দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা শাসনের নামে অপশাসন, শোষণ ও নিষ্পেষণের অবসান হয় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে। ২০২৪ সালের ৫
বাঙালি জাতির ইতিহাসে রয়েছে অনন্য বীরত্বের সঙ্গে অনেক বিজয় অর্জন করতে পারার ইতিহাস। এটি আমাদের গর্ব। কিন্তু গভীর বেদনা ও পরিতাপের
একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাছ থেকে মূল চাওয়াটা হচ্ছে, আইনের শাসন, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন,
পৃথিবীর যেসব দেশ স্বাধীনতার পরও লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে গেছে, হানাহানি ও রক্তক্ষয় দেখেছে শুধু রাষ্ট্রব্যবস্থায় অসংগতি ও আর্থিক
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মূলে এটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে সংস্কার চাই। যদি আমরা স্বাধীনতা-পরবর্তী সংস্কারের দিকে তাকাই, ১৯৯১,
পূর্ববর্তী যেকোনো অভ্যুত্থান বা রাজনৈতিক ঘটনাবলির সঙ্গে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। এই গণ-অভ্যুত্থানে
ফ্যাসিস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ‘রাজাকার’ মন্তব্যের পর যখন আমরা সব ভয় থেকে মুক্ত হয়ে হলে হলে ছাত্রলীগের ব্যারিকেড ভেঙে ‘তুমি
বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যের দক্ষতানির্ভর বাংলাদেশ, যেখানে তরুণরা তাদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে
পুরোনো সংবাদ গুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন