মঙ্গলবার ভোর থেকে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. ইয়ামিন চৌধুরী জানান, বরিশাল বিভাগে ৬ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উপকূলীয় এলাকায় বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ বাধ রয়েছে। সেসব এলাকার মানুষকে এরই মধ্যে সতর্ক করা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা যেন আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে যায়, সে বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এরমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থাকার উপযোগী এবং পর্যাপ্ত খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় কমিশনার।
এ বিষয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, নদী ভাঙনের ব্যাপারে আমরা লক্ষ্য রাখছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বুঝতে হবে নদী ভাঙনরোধে বেড়িবাঁধ একটি বিশাল প্রকল্প, এটা আজ বলেই কাল শুরু করতে কিংবা শেষ করতে পারি না। উপকূলীয় এলাকার জন্য সমীক্ষা করা হচ্ছে, প্রকল্প আমাদের আছে এবং আমরা করবো। কিন্তু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা যেখানে ভাঙন হচ্ছে, সেইসব এলাকা মোটামুটিভাবে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ, আর যেদিকে তাঁকাবেন নদীও তীর ভাঙতে থাকে। এটা রোধে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবে ছোট ছোট ভাঙন হতেই থাকবে, যা নিয়ে আমাদের বসবাস করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই দোয়া করি যেন, আম্পান আমাদের দিকে না আসে। তারপর যদি আসে আমরা প্রস্তুত আছি যেন বেশ আকারে ক্ষয়ক্ষতি না হয়। আমাদের প্রকৌশলীরা যে যার এলাকায় রয়েছেন। জেলা প্রশাসকরা কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকার যেসব জায়গাতে বেড়িবাঁধগুলো নাজুক অবস্থায় রয়েছে, সেসব জায়গার তালিকা প্রকৌশলীর কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে। নাজুক অবস্থায় থাকা বেড়িবাঁধগুলো নিয়ে অনেক স্থানে কাজও করছেন প্রকৌশলীরা। আশা করি, বন্যা আসার আগেই আমরা বেড়িবাঁধগুলো সংস্কার করতে পারবো। এখন ঘূর্ণিঝড় আম্পান যে এলাকাতে আসবে, সেসব এলাকার লোকজনকে আমরা সাবধান করেছি এবং আমাদের প্রকৌশলীরা সেখানে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি জনগণকে শান্ত থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ দেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে যা বোঝা যাচ্ছে, তাতে এটি যদি আঘাত হানে, তা অতি প্রবল হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথেষ্ট হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এমএস/ওএইচ/