ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকে ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম। তবে সেই জায়গায় নিজেকে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আয়ারল্যান্ড। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে লিটনকে (০) শিকার করেন জশ লিটল। দ্বিতীয় উইকেট পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি আইরিশদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে কেবলই খোলস ছেড়ে বেরিয়েছিলেন তামিম। মার্ক অ্যাডায়ারের করা চতুর্থ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার হাঁকান তিনি। কিন্তু এর পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। স্টাম্পের অনেকটা বাইরের ডেলিভারি খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় বল লাগান তিনি। আম্পায়ার অবশ্য প্রথম আইরিশদের আবেদনে সাড়া দেননি। তবে রিভিউ নিয়ে বাজিমাত করে আইরিশরা। আলট্রা এজে ধরা পড়েন তামিম। তাই ১৯ বলে ২ চারে ১৪ রানেই ফিরতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর শান্তকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন সাকিব। কিন্তু ২১ বলে ৪ চারে ২০ রান করে ফেরেন তিনি। হিউমকে এক পা এগিয়ে এসে ক্রস ব্যাটে খেলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু বলের সঙ্গে ব্যাটার সংযোগ ঘটাতে পারেননি, উড়ে যায় তার স্টাম্প। এরপর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন শান্ত-হৃদয়। কিন্তু ৫০ রানের জুটির পর ২০ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরে যান দুই ব্যাটারই। গ্রাহাম হিউমের বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হৃদয়। আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে ২ চারে ২৭ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
ষষ্ঠ উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিক। চাপ সামাল দিয়ে ৬৫ রান যোগ করেন দুজনে মিলে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পেলেও সুইপ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন মিরাজ। ডিপ স্কয়ার লেগে থাকা ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৪ বলে ৪ চারে ২৭ রান করেন তিনি। তবে তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে ক্যারিয়ারের ৪৪ তম ফিফটি তুলে নেন মুশফিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
এএইচএস