অবিশ্বাস্য কতকিছুই তো গত এক বছরে করেছে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল। এখন তারা দাঁড়িয়ে আরও এক বড় চ্যালেঞ্জের সামনে।
লর্ডসে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের শেষদিনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ২৫৭ রান। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৪১৬ রানের জবাবে ৩২৫ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে অজিদের গুটিয়ে দেয় ২৭৯ রানে। চতুর্থ দিনশেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ এখন ১১৪ রান। ৬৭ বলে ৫০ রান করে বেন ডাকেট ও ৬৬ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত আছেন বেন স্টোকস।
১৩০ রানে দুই উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। সকালের ঘণ্টা ভালোভাবেই পাড় করে দেন স্টিভেন স্মিথ ও উসমান খাজা। ১৮৭ বলে ৭৭ রান করে খাজা আউট হয়ে যান ব্রডের বলে। এরপর ৬২ বলে ৩৪ রান করে টংয়ের বলে আউট হন স্মিথ। এই দুজনই দলের পক্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
ইংল্যান্ডের করা টানা শর্টবলে বিপর্যস্ত হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। শেষে ঘটে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। পায়ের পেশিতে চোট নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠে নেমে যান নাথান লায়ান। তীব্র ব্যথা সহ্য করেই ১৩ বল খেলেন তিনি, হাঁকান একটি চারও। শেষ উইকেট জুটিতে স্টার্কের সঙ্গে যোগ করেন ১৫ রান। ইংলিশদের হয়ে চার উইকেট নেন ব্রড।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে স্টার্ক ও কামিন্সের তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জ্যাক ক্রলিকে আউট করেন স্টার্ক। তার লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন ৬ বলে ৩ রান করা এই ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেটও এনে দেন স্টার্ক। এবার ১০ বলে ৩ রান করা ওলে পোপেকে আউট করেন তিনি।
এরপর অস্ট্রেলিয়াকে সাফল্য এনে দেন কামিন্স। শুরুতে ৩৫ বলে ১৮ রান করা জো রুটকে ক্যাচ দেওয়ান ওয়ার্নারের হাতে। পরে ৩ বলে ৪ রান করা হ্যারি ব্রুককে করেন বোল্ড। বাকি দিনটা দারুণভাবে পাড় করেন ডাকেট ও স্টোকস। ৬৯ রানের জুটি তাদের।
বাংলাদেশ সময় : ১০৩১ ঘণ্টা, ২ জুলাই, ২০২৩
এমএইচবি