অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয়টিতেও হলো রোমাঞ্চকর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জয়ী হলো অস্ট্রেলিয়া।
আগের দিন ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে রাখেন স্টোকস। বেশ কয়েকবার জীবন পেয়ে ৯টি করে ছক্কা-চারে ১৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বেন ডাকেটের ব্যাট থেকে আসে ৯ চারে ৮৩ রান।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটিই স্টোকসের সর্বোচ্চ ইনিংস। আগের সেরা ছিল ২০১৯ সালের হেডিংলিতে খেলা অপরাজিত ১৩৫ রান। ওই ম্যাচে তার অতিমানবীয় ব্যাটিং ও জ্যাক লিচের সঙ্গে শেষ উইকেটে অসাধারণ জুটিতে অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। লর্ডসেও তেমন কিছুর সম্ভাবনা জাগালেও পারলেন না স্টোকস।
দারুণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার এই জয়ে বড় অবদান রাখেন মিচেল স্টার্ক, কামিন্স ও হেইজেলউড। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে তিন পেসারই নেন তিনটি করে উইকেট।
৫৬তম ওভারে হ্যাটট্রিক ছক্কাসহ ২৪ রান তুললেন স্টোকস। তবে অপর প্রান্তে থাকা স্টুয়ার্ড ব্রডের ওপর খুব একটা আস্থা রাখতে পারছিলেন না। প্রতেক ওভারেই শেষদিকে এসে এক রান নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যেন নতুন ওভারে শুরু থেকে স্ট্রাইক পান। যেমনটা স্টোকস করেছিলেন হেডিংলিতে নিজের সেই বিখ্যাত ইনিংস খেলার পথে।
ব্যাট হাতে দলকে একাই টানছিলেন স্টোকস। দলও জয়ের পথ ধরেই হাঁটছিল। কিন্তু ৭৩তম ওভারে এসে হাঠাৎ ছন্দ পতন। হ্যাজেলউডের করা শর্ট বলে পুল করতে গিয়েই যেন ভুল করলেন। টপ এজ হয়ে বল জমা পরলো ক্যারির গ্লাভসে। সমান ৯টি করে চার-ছক্কায় ১৫৫ করে তিনি যখন সাজঘরের পথে হাঁটছেন তখন ইংলিশদের জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ৭২ রান।
শেষ ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ৭২ রানের সমীকরণ মেলানোটা ইংল্যান্ডের জন্য প্রায় অসম্ভবই ছিল। এমন জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে অলৌকিক কিছু প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ইংলিশ টেলেন্ডাররা তেমন কিছুই করতে পারলেন না। উল্টো অজিদের গতি আর বাউন্সের সামনে দাঁড়িয়ে থাকায় যেন দায় ছিল!
নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৩২৭ রানে থেমেছে ইংল্যান্ড। ফলে ৪৩ রানের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ২ জুলাই, ২০২৩
এআর