চট্টগ্রাম: জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে থেকেই ছিল বৃষ্টির শঙ্কা। ম্যাচের ১৫ ওভার না যেতেই সে শঙ্কাই সত্যি হলো।
বাংলাদেশ দলের করুণ অবস্থায় বেরসিক বৃষ্টি খনিকের জন্য স্বস্তি দিলেও মাঠে বসে খেলা দেখা দর্শকদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলেই গাঁ বাঁচাতে দর্শকদের খুঁজতে হয় ছাউনি। বৃষ্টিতে কাক ভেজা হলেও দলের বিপর্যয়ে উৎসাহ দিতে যেন ভুল নেই তাদের।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে খেলা দেখতে আসা তাসরিফ হাসান নামে এক দর্শক জানান খেলা দেখতে আসার অনুভূতি। বলেন, দুপুরে যখন মাঠে আসলাম তখন আবহাওয়া বেশ ভালো ছিল। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে খেলার মত আবহাওয়াও খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশের এখন যে পরিস্থিতি খেলা শুরু হতে দেরি হলেই যেন ভালো।
তিনি আরও বলেন, দল যেমনই খেলুক আমরা উৎসাহ দিয়ে যাব। মাঠে এসেছি তো এ জন্যই। তবে একটু হতাশ। ব্যাটাররা আরও ভালো করতে পারতো।
খুব উচ্ছ্বাস নিয়ে খেলা দেখতে এসেছিলেন রিকশা চালক মো. মামুন। মূ্ল্যস্ফীতির বাজারে যখন রিকশা চালিয়ে সংসার চালানো দায় সেখানে সন্তানকে নিয়ে মামুনের খেলা দেখতে আসা বিলাসিতা। তবুও তার ভাষায় আনন্দের কোনো দাম হয় না। ক্রিকেটের প্রতি অগাদ ভালোবাসা মামুনকে মাঠে টেনে আনলেও বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে হাতাশ তিনি।
মামুন জানান, খেলার প্রতি ভালোবাসা থেকে মাঠে এসেছি দুই সন্তানকে নিয়ে। কিন্তু মাঠে খারাপ খেলছে বাংলাদেশ আর আবহাওয়াও খারাপ। সব মিলিয়ে বেশ বাজে অবস্থা। মাঠে বসে প্রথমবার খেলা দেখছি। বেশ ভালো অনুভূতি। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি নামার কারণে জামা কাপড় ভিজে গেছে। বাচ্চাদের নিয়ে যে কোথাও দাঁড়াবো সে সুযোগও নেই।
এসময় স্টেডিয়ামের ভিতর খাবারের দোকানে অতিরিক্ত দামের সমালোচনাও করেন তিনি।
এদিকে, দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর ৬ টা ১০ মিনিটে শুরু হয় খেলা। দুই দফা খেলা বন্ধ থাকায় ৭ ওভার কমিয়ে আনা হয়। শেষ খবর পর্যন্ত বাংলাদেশে নিজেদের ইনিংসে সংগ্রহ করেছে মাত্র ১৬৯ রান। কিন্তু ডিএলএস ম্যাথডে আফগানদের সামনে লক্ষ্য ১৬৪ রানের।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৩
এমআর/টিসি/আরইউ