মাঠে তারা সতীর্থ, মাঠের বাইরেও খুব ভালো বন্ধু তারা। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিম ইকবালের অবসরের ঘোষণা শুনে হৃদয় খারাপ হয়ে গিয়েছিল মুশফিকুর রহিমের।
আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তামিম। সঙ্গে ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন তামিম।
কিছুক্ষণ পর মুশফিক তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘এর চেয়ে ভালো খবর আর হতে পারে না। এটা শুনে খুবই খুশি যে আমরা আবারও একসঙ্গে খেলব। ইনশাল্লাহ এটি একটি নতুন শুরু এবং অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য একসঙ্গে অসাধারণ গৌরব বয়ে আনব আমরা। ’
এর আগে বন্ধুর পূর্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুশফিক লিখেছিলেন, ‘আমরা একসঙ্গে দারুণ স্মৃতি ভাগাভাগি করেছি, সাফল্য উদযাপন করেছি। একসঙ্গে জিতেছি, কঠিন সময় কাটিয়েছি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে আমরা আর একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করব না, আমাদের দেশকে জেতাব না। তোর কৃতিত্ব ও যেভাবে চলে গেলি; তাতে আমি গর্বিত, আমি তোর পাশে আছি। ’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য যা কিছু করেছিস, তার জন্য করতালি। বিদায় আমার বন্ধু, আমার চোখে এই দেশের সেরা ব্যাটার তুই। সত্যিই আমি তোকে নিয়ে অনেক গর্বিত। ’
একদিনের ব্যবধানে বদলে গেল সবকিছুই। ‘ইউটার্ন’ নিয়ে তামিম বলেন, ‘আজকে দুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে তার বাসায় আমন্ত্রণ করেছিলেন। উনার সঙ্গে আমি অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে খেলায় ফিরে আসতে। তো আমি আমার রিটায়ারমেন্ট এই মুহূর্তে উঠিয়ে নিচ্ছি। ’
‘আমি সবাইকে না বলতে পারি, কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিকে না বলা অসম্ভব। সাথে মাশরাফি ভাই, পাপন ভাই ইজ বিগ বিগ ফ্যাক্টর। মাশরাফি ভাই অবশ্য আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড়মাসের জন্য ছুটিও দিয়েছেন। আমার যা চিকিৎসা আছে, আমি যেন মেন্টালি ফ্রি হতে পারি। আমার যা করার আছে। দেড় মাস পর, ইনশাল্লাহ আমি খেলবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২৩
এএইচএস