উদ্বোধনী জুটি বদলে গিয়েছিল সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে। লিটন দাসের জায়গায় তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গী হন সৌম্য সরকার।
কিন্তু এর মধ্যে হঠাৎই ছন্দপতন। ১২তম ওভারে দুই ওপেনার ফিরলেন ৪ বলের ব্যবধানে। এরপর বাংলাদেশের বাকি ব্যাটারদের কেউ পৌঁছাতে পারলেন না দুই অঙ্কের ঘরেও। ৪২ রানের ব্যবধানে ১০ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ হয়ে গেল অলআউট। এমনভাবে ভেঙে পড়ার ব্যাখ্যা কী?
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচ শেষে শুক্রবার মিরপুরে সৌম্য বলেন, ‘না, দেখেন। প্রথম দিকে আমি আর তামিম যখন ব্যাট করছিলাম নতুন বলে একটু ভালো ছিল। বলটা ব্যাটে আসছিল। হঠাৎ বলটা একটু পুরোনো হওয়ার পর একটু ডাবল পেস, একটু আপস এন্ড ডাউন করছিল। ’
‘প্রথম দিকে হয়তো সবাই এটা বুঝতে ভুল করেছে যে...আমরা বলছি প্রথমে আমাদের দেখে যেমন মনে হয়েছিল উইকেট ১৭০-১৮০ এর; হঠাৎ যখন বলটা একটু পুরোনো হয়েছে। তখন একটু আপস এন্ড ডাউন স্লো হচ্ছিল। এটা হয়তো সবাই একটু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অ্যাটাকিংয়ে চলে গেছে, এটা হয়তো ভুল করেছে আমার মনে হয়েছে। ’
সৌম্যের ব্যাখ্যা অনুযায়ী শেষদিকে বলের গতিতে হেরফের হচ্ছিল। তবুও এত দ্রুত খেলার পরিস্থিতি বদলে যাবে? সৌম্য বলছেন, টি-টোয়েন্টিতে সেটি হতে পারে যেকোনো মুহূর্তেই। যদিও সৌম্য স্বীকার করছেন, শেষদিকে একটি জুটি হলে কাজটা সহজ হয়ে যেতো তাদের জন্য।
সৌম্য বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি জিনিসটাই এমন যে, প্রতি বলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। কিন্তু আমরা যেভাবে খেলেছি- তামিম আর আমি। আমরা আউট হওয়ার পর তাওহীদ কিন্তু সেভাবেই ব্যাটিং করেছিল। ’
‘সেই সময়টা স্পিনাররাও যখন বল করছিল, আমার মনে হয় ওরা ভালো জায়গায় বল করেছে। আমরা হয়তো আরেকটু সোজা বলে খেললে ভালো হতো। সেখান থেকে কেউ যদি ১০ বা ১৫ রানের জুটি গড়তো তাহলে হয়তো শেষের দিকে গিয়ে আরেকটু ভালো হতো। ’
আগের তিন ম্যাচে দারুণ করা মিডল অর্ডারদের ব্যর্থতা নিয়ে সৌম্য বলেন, ‘প্রত্যেক ম্যাচে তো সবাই ভালো করবে না। গত ম্যাচগুলোতে তারাই (মিডল-অর্ডার) তো ভালো করেছে। তো একদিন তাদের খারাপ হতেই পারে। এটা তেমন কিছু না। তারা পরের ম্যাচেই আবার ঘুরে দাঁড়াবে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১১০৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস