জাতীয় দলের ঠিক আগের ধাপ হাই পারফরম্যান্স ইউনিট। এই প্রোগ্রামের আওতায় রেখে ক্রিকেটারদের খেলার স্কিলের বাইরেও শেখানো হয় নানা কিছু।
বুধবার তিন নির্বাচকের সঙ্গে আলাপ করেন এই ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এমনিতে প্রতিবারই প্রোগ্রামের শেষদিকে একটা সিরিজ আয়োজন করে বিসিবি। দুর্জয় জানিয়েছেন, এবার হবে টুর্নামেন্ট। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
দুর্জয় বলেন, ‘এটা তো রেগুলার একটা প্রোগ্রাম। প্রতি বছর ৪-৬ মাসের প্রোগ্রাম হয়। এর ভেতরে কন্ডিশনিং ক্যাম্প, স্কিল ট্রেনিং হয়। কিছু রেসিপ্রোকাল ট্যুর হয়, যাদের সঙ্গে আমাদের এমওইউ আছে। সেসব দেশের সঙ্গে যে সিরিজ হয় এর বাইরে এবার নতুনত্বের কথা বললে এবার বিদেশ সফরের সঙ্গে একটি টুর্নামেন্টের কথা আলোচনা চলছে। ’
‘বাংলাদেশের একটি দল, পাকিস্তানের একটি দল, অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ৪-৫টি দল থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে হবে সেটি। আমাদের সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয়েছে। আশা করছি আমরা সেটিতে অংশগ্রহণ করব। একইসঙ্গে সেখানে দুটি চার দিনের ম্যাচ, তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলারও প্রস্তাব আছে। জুলাইয়ের শেষ থেকে অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে। এটার আলাপ চলছে। ’
আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ২৫ ক্রিকেটারের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং, মিডিয়া হ্যান্ডেলিং, আকসুর নিয়ম কানুন শেখানো হবে। এরপর হবে স্কিল ক্যাম্প। এইচপির কার্যক্রম শুরু হলেও এখনও প্রধান কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। দুর্জন জানিয়েছেন, সম্ভাব্য সেরা কোচকেই খুঁজছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান কোচ নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা সম্ভাব্য সেরা কোচ আনার চেষ্টা করছি। বেশ কয়েকজন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাদের কখন পাওয়া যাবে সেটিও আমাদের দেখতে হচ্ছে। একারণে একটু সময় লাগছে। তবে শিগগিরই হয়ে যাবে। ’
এইচপির কার্যক্রম নিয়মিতই করে থাকে বিসিবি। এই ধাপ পেরিয়ে বেশ ক’জন ক্রিকেটার পৌঁছেছেন জাতীয় দলেও। এখানে কী কী শেখানোর চেষ্টা থাকে?
দুর্জয় বলেন, ‘এইচপিকে আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামার আগে শেষ ধাপ হিসেবে ধরে থাকি। এখান থেকে যেন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে যায়৷ বিভিন্ন সময় প্রায় ১০-১১ জন ক্রিকেটার এইচপির প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম রাখা হয়েছে। মিডিয়া হ্যান্ডলিং, এন্টি করাপশন ইউনিটের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জাতীয় দলে খেলার জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন হয়, সেসব খুঁজে খুঁজে এখানে রাখার চেষ্টা করেছি। ’
‘অনূর্ধ্ব-১৯ পার করে আসার পর জাতীয় দলে ঢোকার আগপর্যন্ত সময়ে থাকা ক্রিকেটারদের আমরা এইচপির জন্য বাছাই করি। এখানে বয়সের একটা ব্যাপার আছে, ১৯ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে থাকে। কারণ ইমার্জিং কাপ বা এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে গেলে বয়সের একটা ব্যাপার থাকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ