সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আগে ব্যাটিং করা মানেই প্রতিপক্ষ বোলারদের জন্য দুর্দিন। আইপিএলের গ্রুপ পর্বে এমন দৃশ্য নিয়মিত দেখা গেলেও প্লে অফে তা দেখা গেল না।
তবে ১৭৫ রানের পুঁজি নিয়ে হায়দরাবাদ ঠিকই নাম লিখিয়েছে ফাইনালে। শাহবাজ আহমেদ ও অভিষেক শর্মার ঘূর্ণিতে ভর করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৬ রানে হারিয়েছে তারা। একই ভেন্যুতে আগামী ২৬ মে শিরোপা লড়াইয়ে কলকাতার মুখোমুখি হবে দলটি।
চেন্নাইয়ের চেপক স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি রাজস্থান। ৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তোলে ৫৬ রান। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল বেশ ছন্দেই ছিলেন। কিন্তু একই উইকেটে রাজস্থানের দুই স্পিনার সফলতা না পেলেও মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখেছেন হায়দরাবাদের দুই বাঁহাতি স্পিনার। পরের সাত ওভারে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তারা।
নিজের প্রথম ওভারেই জয়সওয়ালকে (৪২) শিকার করেন শাহবাজ। বাঁহাতি এই স্পিনার নিয়মিত বোলার হলেও পার্টটাইমার হিসেবে পরিচিত অভিষেক। ব্যাট হাতে এবারের আসরে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। তবে আজ বল হাতে নিজের কার্যকরিতা দেখালেন এই বাঁহাতি। প্রথম ওভারে রাজস্থান অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনকে তুলে নেওয়ার পর সাজঘরে ফেরান শিমরন হেটমায়ারকেও। পুরো ৪ ওভার বোলিং করে ২৪ রান খরচে এ দুটো উইকেট নেন তিনি। অন্যদিকে সমান ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন শাহবাজ।
শেষদিকে রাজস্থানকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করেন ধ্রুব জুরেল। কিন্তু ডেথ ওভারে নটরাজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কাছে ব্যর্থ হয় তার একক প্রচেষ্টা। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৩৯ রানে থামে রাজস্থান। জুরেল অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ৫৬ রান করে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৭৫ রান তোলে হায়দরাবাদ। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারালেও ৬৮ রান জমা করে তারা। তিনটি উইকেটই নেন ট্রেন্ট বোল্ট। এর মাঝখানে ১৫ বলে ৩৭ রানের ঝলক দেখান রাহুল ত্রিপাঠি। কিন্তু এরপর কমতে থাকে হায়দরাবাদের রানের গতি। থিতু হলেও ২৮ বলে ৩৪ রানের বেশি করতে পারেননি ট্রাভিস হেড। বিপর্যয়ের ভিড়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে হায়দরাবাদকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন হাইনরিখ ক্লাসেন। ৩৪ বলে ৪ ছক্কায় ৫০ রান করেন এই ব্যাটার। তার কার্যকরী ইনিংসকে পরে বৃথা যেতে দেননি শাহবাজ-অভিষেক।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৪
এএইচএস