১৯৯৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রবল প্রতাপশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। সেই সুখস্মৃতির ২৫ বছর পেরিয়ে গেছে।
অল্প সময়ের জন্য ২০১১-১২ সালে বাংলাদেশের হেড কোচ ছিলেন ল। তার অধীনে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের (২০১২) ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। সবশেষ আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ যুব দলের হেড কোচ ছিলেন সাবেক এই অজি ক্রিকেটার। কিন্তু বিশ্বকাপ শেষে তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি। এরপর তাকে হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে ইতিহাস গড়ে তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশ নিয়ে ল বলেন, ‘২৫ বছরেঅ বাংলাদেশ এগোয়নি। তারা যা কিছুই করছে, তা কাজে আসছে না। তাদের খুঁজে বের করতে হবে, কী করলে নিজেদের ছাপ রাখা যায়। ’
বর্তমান বোর্ডের সমালোচনা করে ল বলেন, “হয়তো এখন বসে ভাবার সময় যে, ‘আমরা যেভাবে করছি, তা কাজে লাগছে না, আমরা এগোইনি –হয়তো ভিন্ন কিছু করা দরকার। ’ বর্তমান প্রশাসকদের খাটো করতে এটা বলছি না, কিন্তু তাদের খেলাটির সবদিকেই চোখ রাখতে হবে। ”
গত ২৫ বছরে ক্রিকেট অনেকটাই বদলে গেছে। এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যুগ। কিন্তু ফরম্যাটটির সঙ্গে এখনো তাল মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের কোনো আসরেই খেলতে পারেনি নকআউটে। উঠতি ক্রিকেটারদের পরখ করেও এই ফরম্যাটে বাংলাদেশকে নিয়ে খুব একটা প্রত্যাশা রাখছেন না ল।
তিনি বলেন, ‘তারা (তরুণ ক্রিকেটার) শক্তিশালী অ্যাথলেট নয়, কিন্তু তাদের শরীর কোমল প্রকৃতির। তাই তারা দ্রুত গতিতে বল করতে পারে এবং স্পিন করতে পারে। আমরা সবাই তা জানি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বা অস্ট্রেলিয়ানদের মতো কখনো শক্তিশালী অ্যাথলেট হতে পারবে না তারা, যাদের বেড়ে ওঠা ও ডায়েট আলাদা ধরনের। ’
‘তরুণদের ১২-১৬ বছর বয়সে তুলে আনা, তাদের ভালো ডায়েট ও ফিজিক্যাল ফিটনেসের ভালো ভিত গড়ে দেওয়া –বেড়ে ওঠার এই ধাপটা যদি বাংলাদেশ পার করতে পারে, তাহলে বিশ্ব এমন এক বাংলাদেশকে দেখতে পাবে, যারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে এবং তারা ক্রিকেট পাগল দেশ। সামাজিক পটভূমি ও বেড়ে ওঠা সম্পর্কে ভুলে গিয়ে কেবল তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যদি তাদের প্রতিভা থাকে, তাহলে সেই প্রতিভাকে কাজে লাগানো শুরু করুন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
এএইচএস